নথি-হীন হাতি আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ
বৈধ নথি না থাকায় সার্কাস কোম্পানির হাতিকে আটক করে বন দফতরের হাতে তুলে দিল রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ। হাতিটি আপাতত রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাসে রাখা হয়েছে। বন দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জোনারি নামে ওই হাতিটিকে ট্রাকে চাপিয়ে খড়িবাড়ি থানার বাতাসি এলাকা থেকে মালদহের চাঁচলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা হাতি সমেত ট্রাকটিকে আটক করে।
হাতি তাড়াতে গিয়ে ট্রেনের নীচে বনকর্মী
বুনো হাতির পালকে নিরাপদে রেল লাইন পার করাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক অস্থায়ী বনকর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটির দীপর বিল এলাকায়। বনকর্মীর নাম কলিয়া বড়ো (৫৫)। অসমের অভয়ারণ্য দীপর বিলে রেল লাইনের ৯টি জায়গায় হাতি যাতায়াতের ‘করিডর’ রয়েছে। সেখানে বনকর্মী ছাড়া স্থানীয় কয়েক জনকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছে বন দফতর। গুয়াহাটির ডিএফও দিব্যধর গগৈ জানান, রানি এবং গড়ভাঙা অরণ্য থেকে প্রায়ই হাতির পাল রেল লাইন পেরিয়ে দীপর বিলে নামে। চর ও জলায় কিছু দিন কাটিয়ে ফের লাইন পার করে জঙ্গলে ফিরে যায়। ওই সময় কোনও হাতি যাতে ট্রেনে কাটা না-পড়ে, বনকর্মীরা সে দিকে নজর রাখেন। হাতির দল জঙ্গল থেকে বের হলে, এক দিকে লামডিং-রঙিয়া শাখায় রেলকে সতর্ক করা হয়। সব ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে রক্ষীরা হাতিদের তাড়া দিয়ে লাইন পার করান। ওই বনকর্তা জানান, ২০ জুলাই রাতে এমনই একটি হাতির পাল রানির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। রেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করার পাশাপাশি, মিকির গাঁওয়ের চকরদৌ এলাকায় হাতিদের উপর নজর রাখছিলেন কলিয়া। কিন্তু একটি পুরুষ হাতি লাইন ধরেই হাঁটতে থাকে। কিছু ক্ষণ পরে সেখানে ট্রেন আসার কথা ছিল। কলিয়া হাতিটিকে তাড়ানোর সময় ট্রেন চলে আসে। তাঁর উপর দিয়েই ট্রেন চলে যায়। ওই অস্থায়ী বনকর্মীর বাড়ি মিকিরগাঁও এলাকায়। ডিএফও বলেন, “হাতির প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে যে ভাবে এক জন বনকর্মী প্রাণ দিলেন তা দুঃখজনক। তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি।”
হাতির মৃত্যু
চন্দন পালের তোলা ছবি।
ফসলের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকেছিল বুনো হাতির দল। বাড়িঘরও ভাঙছিল। তখনই একটি বাড়ির লোহার কাঠামো ভেঙে পড়ে একটি হস্তিশাবকের মাথায়। কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় জখম ওই শাবকটির। গত রাতে হাজারিবাগের দারু ব্লকের মাঝিটোলাতে ঘটনাটি ঘটে। গোটা রাত প্রায় ২০টি হাতি আহত শাবককে আগলে বসেছিল। ভোরের দিকে সেটির মৃত্যু হয়। জেলার ডিএফও অজিতকুমার সিংহ জানান, শাবকটি মারা যাওয়ার পরে হাতির দল জঙ্গলে ঢুকে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে মৃত হাতির দেহের ময়নাতদন্ত করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। ডিএফও জানান, প্রতিশোধ নিতে ফের হাতির দল গ্রামে ফিরতে পারে, সেই আশঙ্কায় গ্রামের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
খাবারের খোঁজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy