দলমার পালের হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক মহিলার। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নয়াগ্রাম থানার পাতিনা অঞ্চলের জামশোলা গ্রামে। মৃত বিন্দুবালা নায়েকের (৫০) বাড়ি জামশোলা গ্রামেই।
রবিবার দিনমজুরির কাজ সেরে স্বামী ডমন নায়েকের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বিন্দুদেবী। সন্ধে সাতটা নাগাদ জামশোলা গ্রামের লাগোয়া জঙ্গল রাস্তায় দলমার ৮-৯ টি হাতির পালের সামনে পড়ে যান নায়েক-দম্পতি। পালের একটি দাঁতাল তাঁদের দিকে তেড়ে আসে। ডমনবাবু কোনও মতে ছুটে পালিয়ে বাঁচেন। কিন্তু বিন্দুদেবী ছুটতে গিয়ে পড়ে যান। দাঁতালটি বিন্দুদেবীকে শুঁড়ে জড়িয়ে মাটিতে আছড়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় চাঁদাবিলা ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসার বিমল রাউত ও নয়াগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃতের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দলমার পালের ৮-৯টি হাতি এখনও নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা রেঞ্জের জঙ্গলে রয়েছে। হাাতির পালটিকে এলাকা থেকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
হাতির হানায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয় দহ, গড়মাল, ভুতাশোল, নোনাশোল এলাকা ও তার আশপাশে। রবিবার রাত থেকে বেশ কয়েকটি হাতি এই সব এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। মেদিনীপুরের ডিএফও বিজয় সালিমঠ বলেন, “ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকা থেকে হাতি তাড়ানো শুরু হয়েছে।” এ বার নির্ধারিত সময়ের আগেই দলমার দলটি ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়েছে। দিন কয়েক দলে হাতির দলটি গোদাপিয়াশাল রেঞ্জ এলাকায় ছিল। রবিবার রাতে ভাদুতলা রেঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়ে। সোমবার বেশির ভাগ সময়ই হাতির দলটি পিঁড়াকাটা রেঞ্জ এলাকায় ছিল। বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, এখনই উদ্বেগের কিছু নেই। হাতির দলের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় দলটি লোকালয়ে ঢুকে পড়বে। ডিএফও বলেন, “গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, হাতির দলটি রামগড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy