নজর খাবারে। করিমগঞ্জে দোকানের সামনে সেই ষাঁড়।— নিজস্ব চিত্র।
খাবারের খোঁজে দোকানে ষাঁড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমগঞ্জ
ঘড়ি ধরে দোকানের দরজায় হাজির হয়ে যায় ওই চারপেয়ে! খাবার মিললে তবেই নড়ে সেখান থেকে। প্রতি দিন এমনই কাণ্ড ঘটে করিমগঞ্জে। দোকানদারদের বক্তব্য, হৃষ্টপুষ্ট ওই ষাঁড়টিকে খাবার দিলে তাঁদের ব্যবসা সে দিনের মতো ভালই যায়। এলাকার লোকজন জানান, বছর খানেক আগেও ষাঁড়টিকে দেখলে সকলে ভয়ে সরে যেতেন। দোকানের সামনে থেকে সেটিকে হঠাতে কখনও জল ঢালা হতো গায়ে, কখনও লাঠিপেটা। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হতো না। শহরের হাসপাতাল রোডের সব ব্যবসায়ীই এখন তাকে চেনেন। কোথা থেকে সেটি আসে, কোথায় বা চলে যায়— তা জানেন না কেউই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতি দিন ষাঁড়টি পৌঁছয় নির্দিষ্ট কয়েকটি দোকানে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। দোকানদাররা সাধ্যমত যা দেন, তা-ই খেয়ে সরে যায়। বিস্কুট, কেক, পরোটা— কিছুতেই অরুচি নেই সেটির। এখন সকাল হলেই ষাড়টির আসার অপেক্ষায় থাকেন নমিতা দেব, আবু দাস, নিতাই বণিকের দোকানের লোকজন। নিতাই বণিকের দোকানের সামনে পাঁচটি সিঁড়ির ধাপ অবলীলায় উঠে যায় ষাড়টি। পরোটা মুখে নিয়ে চলে যায়।
বাড়িতে চিতাবাঘ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল চিতাবাঘের শাবক। আজ দুপুরে নারেঙ্গি এলাকায়। গৃহপালিত কুকুরের ডাকে ভয় পেয়ে যোগেন কলিতার শৌচাগারে লুকিয়ে যায় সেটি। যোগেনবাবু জানান, কুকুরের আওয়াজ শুনে দেখি, শৌচাগারে চিতাবাঘের বাচ্চা ঢুকেছে। লোকজন ভিড় জমায়। শাবকটিকে বস্তায় ঢুকিয়ে বনকর্মীদের খবর দেওয়া হয়। ওই বাড়ি থেকে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করার পর সেটিকে গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে। বন বিভাগ সূত্রে খবর, চিতাবাঘের শাবকটি কিছুটা জখম হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
জল থেকে জল উদ্ধার হস্তিশাবক
ছবি: নারায়ণ দে।
ডুয়ার্সের রায়মাটাং জঙ্গল ছেড়ে মায়ের পায়ে পায়ে খানিক বেরিয়েছিল ১০-১২ দিনের হস্তিশাবকটি। লাগোয়া চুয়াপাড়া চা বাগানের জলাধারের পাশে ছুটোছুটি করতে গিয়ে জলে পড়ে যায় খুদেটি। তাকে উদ্ধার করতে নেমে জলাধারে আটকে পড়ে মা হাতিও। শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ শ্রমিকেরা দেখেন শাবকটি বার বার জলে ডুবে যাচ্ছে। মা হাতিটি শুঁড় দিয়ে তাকে জলে উপরে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে পৌঁছয় বন দফতর ও দমকল। পাম্প বসিয়ে জল কমানো হয়। ১২টা নাগাদ যন্ত্র এনে কংক্রিটের দেওয়ালের একটি অংশ ভাঙা হতেই, মা হাতিটি শুঁড় দিয় শাবকটিকে ঠেলে উপরে তুলে দেয়। উঠেও যন্ত্রের দিকে ছুটে গিয়েছিল শাবকটি। তবে তাকে শুঁড়ে আগলে জঙ্গলে নিয়ে যায় মা-হাতিটি।
ব্যস্ত আহারে। —নিজস্ব চিত্র।
খাবারের খোঁজে। রানিনগরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy