প্রতীকী ছবি।
পানীয় জল নিয়ে ভারতের কপালে উদ্বেগের ভাঁজ গভীরতর হওয়ার দিন প্রায় দোরগোড়ায়!
হু হু করে নেমে যাচ্ছে ভারতে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। এতটাই যে, এমন দিন আর খুব দেরি নেই, যখন বাড়ি ও রাস্তার কলে, টিউবওয়েলে, পাতকুয়োয় আর সহজে জল মিলবে না। প্রায় একই অবস্থা হবে মরক্কো, ইরান আর স্পেনের।
খোদ উপগ্রহ চিত্রেই খুব সামনের সেই উদ্বেগের দিনের ছবি ধরা পড়েছে।
সেই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে গোটা বিশ্বের প্রায় ৫ লক্ষ বাঁধের হাল-হকিকতও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যে ভাবে জলস্তর হু হু করে নেমে যাচ্ছে বাঁধগুলির, তাতে এমন দিন আর খুব বেশি দূরে নয়, যে দিন ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশকে পুরোপুরি ‘হা জল, হা জল’ অবস্থায় পৌঁছে যেতে হবে।
ভারতের বাঁধগুলির অবস্থা, তাদের জলাধারগুলির জলস্তর, সেই জলের ব্যবহার ও অপচয়ের পরিমাণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা কী পড়ছে বাঁধ ও তার জলাধারগুলির উপর, ওই উপগ্রহের পাঠানো চিত্রে সে সবের খুঁটিনাটিও জানা গিয়েছে।
একটু জলের খোঁজ-তল্লাশে... । -ফাইল চিত্র
উপগ্রহ চিত্রের ছবি ভারতের পক্ষে যথেষ্টই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, কারণ, জানা গিয়েছে, যত দিন পর ভারতকে এই অবস্থার মুখে পড়তে হবে বলে এত দিন ভাবা হচ্ছিল, সেই ‘হা জল হা জল’-এর দিন ভারতে এসে পড়বে আরও অনেক আগেই।
আরও পড়ুন- নদীর জল কমলেও ভাসছে ভরতপুর
আরও পড়ুন- শ্যালো পাম্পের অতিরিক্ত ব্যবহারে নামছে জলস্তর
জলের সমস্যায় ইতিমধ্যেই কাবু ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। এই উপগ্রহ চিত্র বলছে, নর্মদা নদীর দু’টি জলাধারের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। ফলে, নর্মদা অববাহিকা ও তার লাগোয়া এলাকাগুলির ‘হা জল, হা জল’ অবস্থায় পড়ার দিন আর মোটেই দূরে নেই।
গত বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম হওয়ায় খুবই কাহিল অবস্থায় পড়তে হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দিরা সাগর বাঁধকে। তার জেরে জলের আকাল হয়েছিল সর্দার সরোবর জলাধারেও। জলকষ্টে পড়তে হয়েছিল ওই এলাকার কম করে ৩ কোটি মানুষকে।
জল নাকি হিরের খোঁজে? -ফাইল চিত্র
সেখানেই শেষ নয়। তার জেরে গুজরাত সরকারকে সেচের যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। চাষিদের সাময়িক ভাবে বীজ রোপণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।
ভূগর্ভস্থ জলস্তরের হাল খুব খারাপ মরক্কোরও। সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার ‘আল মাসিরা’-র জলস্তর পর পর তিন বছরের ভয়াবহ খরা, সেচের পরিমাণ ও কাসাব্লাঙ্কা শহরের জল-চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ৬০ শতাংশেরও বেশি নীচে নেমে গিয়েছে।
ভয়াবহ খরার জন্য গত ৫ বছরে স্পেনের বুয়েন্দিয়া জলাধারের জলস্তরও নেমে গিয়েছে ৬০ শতাংশের বেশি।
নয়ের দশকের পর ইরাকের মসুল বাঁধের জলাধারের জলস্তরও নেমে গিয়েছে ৬০ শতাংশের বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy