গত বছরের ২৮ অগস্ট এই সিরিজের নম্বরপ্লেট চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। পরের মাস থেকে এই সিরিজের আওতায় গাড়ির নম্বর নথিভুক্তির কাজ শুরু হয়। ওড়িশায় ইতিমধ্যেই এই রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এতে দেশের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বাসাবদল হলে বার বার গাড়ির নম্বর রেজিস্ট্রেশনের ঝঞ্ঝাট এড়ানো যাবে।
মূলত সেনায় কর্মরত বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার যে সমস্ত কর্মচারীদের বার বার ভিন্ রাজ্যে বাসাবদল করতে হয়, ইচ্ছা করলে তাঁরা ভারত সিরিজের সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে যে সমস্ত বেসকরারি সংস্থার চারটি বা তার বেশি রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দফতর রয়েছে, তাদের কর্মীরাও বিএইচ সিরিজের নম্বরপ্লেট লাগাতে পারবেন। তবে পণ্য পরিবহণকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
বিএইচ সিরিজের নম্বরে কী কী সুবিধা রয়েছে? ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট-এর ৪৭ ধারা অনুযায়ী, নিজের রাজ্যের বাইরে এক বছরের জন্য গাড়ি রাখা যায়। অর্থাৎ, যে রাজ্যে গাড়ির নম্বর রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে, তা থেকে অন্য রাজ্যে গেলে সেখানে কেবলমাত্র এক বছর গাড়ি রাখতে পারেন তার মালিক। তবে ওই সময়ের পর নিজের রাজ্য থেকে যে ভিন্ রাজ্যে গাড়ির ট্রান্সফার করানো হয়েছে, তা দেখাতে হয়। কিন্তু বিএইচ সিরিজের নম্বরপ্লেট থাকলে গাড়ির মালিককে এ সমস্যা পোহাতে হবে না। গোটা দেশেই একই নম্বরের গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করা যাবে।
বিএইচ সিরিজের নম্বরপ্লেটেও বদল আনা হয়েছে। এই সিরিজের নম্বরপ্লেটে চারটি ভাগ রয়েছে। সাল-বিএইচ-গাড়ির নম্বর (০-৯৯৯৯)-ইংরেজি অক্ষর (এএ থেকে জেডজেড)। যে বছরে গাড়ির নম্বর নথিভুক্তি হয়েছে তার শেষ দু’টি নম্বর থাকবে প্রথমে। এর পর ভারত সিরিজে আদ্যক্ষর অর্থাৎ বিএইচ। তার পর গাড়ির নম্বরের চারটি সংখ্যা। সবশেষে এএ থেকে জেডজেড ইংরেজি হরফের দু’টি অক্ষর। যদিও ‘আই’ এবং ‘ও’ অক্ষরদু’টি ব্যবহার করা যাবে না।
বিএইচ সিরিজের নম্বরপ্লেটের জন্য কী ভাবে আবেদন করা যাবে? এত দিন যে ভাবে গাড়ির নম্বর রেজিস্ট্রেশন করানো হত, সে পদ্ধতিতেই বিএইচ সিরিজের নম্বরপ্লেট পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে হলে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর (আরটিও)-এর পোর্টালে গিয়ে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন গাড়িমালিকেরা। যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর নতুন নম্বরপ্লেট দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy