মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনের জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা আগে থেকে ঘোষণা করেনি বিজেপি। বিষয়টিকে গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনী রণকৌশল হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। ভোটপণ্ডিতদের একাংশের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকে সামনে রেখে মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন লড়তে চেয়েছিল বিজেপি। যার ফলও পেয়েছে সে রাজ্যের পদ্ম শিবির।
নতুন দলে গিয়ে জ্যোতিরাদিত্য নিজের গড় ধরে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়েও বিজেপির অন্দরে সংশয় ছিল। তবে ভোটের ফল বলছে, রাজ্য রাজনীতিতে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে সফল ‘মহারাজ’। নিজের খাসতালুক চম্বল-গোয়ালিয়রেও বিজেপিকে জিতিয়েছেন তিনি। যদিও জ্যোতিরাদিত্য প্রচারে নেমে বার বার জানিয়েছিলেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নন।
কিন্তু মধ্যপ্রদেশে কী ভাবে বিধানসভা ভোটের বৈতরণী পার করল বিজেপি? অতীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বার বার জনমুখী আর্থিক সাহায্যকে ‘রেউড়ি সংস্কৃতি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু ভোটের মুখে তাঁরই দলের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ ‘লাডলি বহেন’ যোজনায় মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের অঙ্ক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ভোটের আগে টাকা বিতরণ নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুললেও তা কার্যত বুমেরাং হয়েছে। শুধু ‘লাডলি বহেন’ নয়, শিবরাজের প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল প্রতি পরিবারের কন্যাসন্তানকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য, উজ্জ্বলা এবং লাডলি বহেন যোজনার আওতায় থাকা পরিবারকে ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার, গরিব পরিবারকে আগামী পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন, কৃষিপণ্যে সহায়ক-মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্পে প্রত্যেক কৃষককে ১২ হাজার টাকা সাহায্যের কথা। মনে করা হচ্ছে তারই স্রোতে ভর করে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া অতিক্রম করেছেন ‘মামা’।
পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে ধোপে টেকেনি কংগ্রেসের তোলা দুর্নীতি, রোজগারের অভাব, কৃষকদের ফসল না পাওয়ার মতো অভিযোগগুলিকে। রাহুল গান্ধীর জাতগণনার প্রতিশ্রুতি উচ্চবর্ণের ভোট আরও বিজেপিমুখী করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে দলের একাংশের দাবি, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সাফল্য বা কংগ্রেস নেতৃত্বের ব্যর্থতা নয়। মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরকে জয় এনে দিয়েছে ‘মোদী জাদু’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy