Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Rekha-Amitabh-Jaya

রেখা-অমিতের প্রেমের দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া! দূর থেকে দেখেছিলেন রেখা

১৯৭৮ সালের পর ১৯৮১ সালে যশ চোপড়া তিনজনকে নিয়ে তৈরি করেন ‘সিলসিলা’। তার আগে পর্যন্ত এক অদ্ভুত শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তিনজনের মধ্যে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ২০:১৬
Share: Save:
০১ ১৩
পর্দায় মুকদ্দর কা সিকন্দর। রেখা এবং অমিতাভের প্রেমের দৃশ্য চলছে। সিনেমা হলের একেবারে সামনের আসনে বসে সেই দৃশ্য দেখছিলেন জয়া বচ্চন। হঠাৎ তাঁর চোখ থেকে চলকে পড়ল জল। গাল-গলা বেয়ে সেই জল নেমেই চলল তার পর। অবিরাম।

পর্দায় মুকদ্দর কা সিকন্দর। রেখা এবং অমিতাভের প্রেমের দৃশ্য চলছে। সিনেমা হলের একেবারে সামনের আসনে বসে সেই দৃশ্য দেখছিলেন জয়া বচ্চন। হঠাৎ তাঁর চোখ থেকে চলকে পড়ল জল। গাল-গলা বেয়ে সেই জল নেমেই চলল তার পর। অবিরাম।

০২ ১৩
দৃশ্য়টি ঠিক এই ভাবেই বর্ণনা করেছিলেন রেখা। তিনি সেদিন ছিলেন হলের প্রজেকশন রুমে পর্দার পাশ থেকে তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন জয়াকে। কিন্তু জয়ার পিছনের আসনে বসা অমিতাভ সেই অশ্রুপাত দেখতে পাননি।

দৃশ্য়টি ঠিক এই ভাবেই বর্ণনা করেছিলেন রেখা। তিনি সেদিন ছিলেন হলের প্রজেকশন রুমে পর্দার পাশ থেকে তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন জয়াকে। কিন্তু জয়ার পিছনের আসনে বসা অমিতাভ সেই অশ্রুপাত দেখতে পাননি।

০৩ ১৩
এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছিলেন রেখা। সেটা ১৯৭৮ সাল। মুকদ্দর কা সিকন্দরই আগামী তিন বছরের জন্য শেষ ছবি হতে চলেছে তাঁর আর অমিতাভ বচ্চনের। কানা ঘুষোয় সবে রেখা শুনতে শুরু করেছেন অমিতাভ আর ছবি করবেন না তাঁর সঙ্গে। কেন? সেই কারণ তিনি জানেন না

এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছিলেন রেখা। সেটা ১৯৭৮ সাল। মুকদ্দর কা সিকন্দরই আগামী তিন বছরের জন্য শেষ ছবি হতে চলেছে তাঁর আর অমিতাভ বচ্চনের। কানা ঘুষোয় সবে রেখা শুনতে শুরু করেছেন অমিতাভ আর ছবি করবেন না তাঁর সঙ্গে। কেন? সেই কারণ তিনি জানেন না

০৪ ১৩
ঠিক এইরকম একটা সময়েই স্টারডাস্ট পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘটনাটি বর্ণনা দিয়েছিলেন রেখা। এ-ও বলেছিলেন, জয়াকে দেখে তাঁর খারাপ লেগেছিল।

ঠিক এইরকম একটা সময়েই স্টারডাস্ট পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘটনাটি বর্ণনা দিয়েছিলেন রেখা। এ-ও বলেছিলেন, জয়াকে দেখে তাঁর খারাপ লেগেছিল।

০৫ ১৩
সাক্ষাৎকারে রেখা বলেছিলেন, ‘‘মুকদ্দর কা সিকন্দর মুক্তি পাওয়ার আগে গোটা বচ্চন পরিবারের জন্য ছবিটির আগাম স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমিও সেদিন ছিলাম হলে। তবে প্রজেকশনের ঘরে। জয়া একেবারে সামনের আসনে বসেছিলেন। আমি ওঁকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার আর অমিতজীর ঘনিষ্ঠদৃশ্যের সময় ওঁর চোখ থেকে জলে পড়েই যাচ্ছিল।’’

সাক্ষাৎকারে রেখা বলেছিলেন, ‘‘মুকদ্দর কা সিকন্দর মুক্তি পাওয়ার আগে গোটা বচ্চন পরিবারের জন্য ছবিটির আগাম স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমিও সেদিন ছিলাম হলে। তবে প্রজেকশনের ঘরে। জয়া একেবারে সামনের আসনে বসেছিলেন। আমি ওঁকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার আর অমিতজীর ঘনিষ্ঠদৃশ্যের সময় ওঁর চোখ থেকে জলে পড়েই যাচ্ছিল।’’

০৬ ১৩
এই ঘটনার পর দিন থেকেই রেখাকে জনে জনে এসে বলে গিয়েছিল, অমিতাভ আর তাঁর সঙ্গে ছবি করবেন না। এ ব্যাপারে নাকি প্রযোজকদের সঙ্গে কথাও বলতে শুরু করেছেন তিনি।

এই ঘটনার পর দিন থেকেই রেখাকে জনে জনে এসে বলে গিয়েছিল, অমিতাভ আর তাঁর সঙ্গে ছবি করবেন না। এ ব্যাপারে নাকি প্রযোজকদের সঙ্গে কথাও বলতে শুরু করেছেন তিনি।

০৭ ১৩
বলিউডে সে সময় রটে গিয়েছিল, অমিতাভের ওই সিদ্ধান্তের জেরেই রেখা আর জয়ার মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়।

বলিউডে সে সময় রটে গিয়েছিল, অমিতাভের ওই সিদ্ধান্তের জেরেই রেখা আর জয়ার মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়।

০৮ ১৩
১৯৭৮ সালের পর ১৯৮১ সালে যশ চোপড়া তিনজনকে নিয়ে তৈরি করেন ‘সিলসিলা’। তার আগে পর্যন্ত এক অদ্ভুত শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তিনজনের মধ্যে।

১৯৭৮ সালের পর ১৯৮১ সালে যশ চোপড়া তিনজনকে নিয়ে তৈরি করেন ‘সিলসিলা’। তার আগে পর্যন্ত এক অদ্ভুত শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তিনজনের মধ্যে।

০৯ ১৩
কিন্তু সেই ঘটনার বহুদিন পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রেখা।

কিন্তু সেই ঘটনার বহুদিন পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রেখা।

১০ ১৩
জয়াকে ‘দিদিভাই’ বলে ডাকতেন রেখা। সিমি গরেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেখা বলেছিলেন, ‘‘দিদিভাই অনেক বেশি পরিণত। অনেক ধীর স্থির। আমি ওঁর মতো মর্যাদাবোধ সম্পন্ন মহিলা আজ পর্যন্ত দেখিনি।

জয়াকে ‘দিদিভাই’ বলে ডাকতেন রেখা। সিমি গরেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেখা বলেছিলেন, ‘‘দিদিভাই অনেক বেশি পরিণত। অনেক ধীর স্থির। আমি ওঁর মতো মর্যাদাবোধ সম্পন্ন মহিলা আজ পর্যন্ত দেখিনি।

১১ ১৩
রেখা বলেছিলেন, ‘‘আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল একটা সময়ে। আমরা একই আবাসনে থাকতাম একটা সময়ে। আমি ওঁকে দিদিভাই বলে ডাকতাম। এখনও ডাকি। যা-ই হয়ে থাক না কেন এই সম্পর্ক কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’’

রেখা বলেছিলেন, ‘‘আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল একটা সময়ে। আমরা একই আবাসনে থাকতাম একটা সময়ে। আমি ওঁকে দিদিভাই বলে ডাকতাম। এখনও ডাকি। যা-ই হয়ে থাক না কেন এই সম্পর্ক কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’’

১২ ১৩
রেখা বলেছেন, ‘‘আমি সেটা বরাবর মনে করেছি। আর আমি নিশ্চিত উনিও সেটা বু‌ঝতে পেরেছিলেন।’’

রেখা বলেছেন, ‘‘আমি সেটা বরাবর মনে করেছি। আর আমি নিশ্চিত উনিও সেটা বু‌ঝতে পেরেছিলেন।’’

১৩ ১৩
জয়ার সম্পর্কে  বলতে গিয়ে রেখা বলেছেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটাই ছিল গুজব, সংবাদমাধ্যমের জন্য সব গোলমাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরও যখনই আমাদের দেখা হয়েছে সব সময় হাসিমুখে কথা বলেছেন দিদিভাই। আমার কাছে ওঁর সম্মান প্রতিমুহূর্তে বেড়েইছে।’’

জয়ার সম্পর্কে বলতে গিয়ে রেখা বলেছেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটাই ছিল গুজব, সংবাদমাধ্যমের জন্য সব গোলমাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পরও যখনই আমাদের দেখা হয়েছে সব সময় হাসিমুখে কথা বলেছেন দিদিভাই। আমার কাছে ওঁর সম্মান প্রতিমুহূর্তে বেড়েইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE