সাবরি আরও বলেন, ‘‘এইমাত্র জানতে পেরেছি যে, সম্প্রতি ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে উঠেছে চিন। তাই একই ভাবে, আমরাও সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবে এতে যেন কোনও তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি না হয়। তাই দায়িত্বশীল প্রতিবেশী এবং সভ্যতার অংশীদার হিসাবে আমরা এমন কিছু করব না যা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষতি করবে।’’
হামবানটোটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে চিনের আধিপত্য নিয়ে বার বার আলোচনা হয় কূটনৈতিক মহলে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর তৈরি হয়েছে চিনের থেকে অর্থসাহায্যে। বলাই বাহুল্য, সে কারণে ওই দুই বন্দরে বেজিংয়ের আধিপত্যও ছিল চোখে পড়ার মতো। যা ভারতকে চিন্তায় ফেলেছিল।
তবে শ্রীলঙ্কায় চিনের আধিপত্য নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রথম থেকে ছিল না। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষ ক্ষমতায় আসার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের ‘সখ্য’ বৃদ্ধি পেয়েছিল। যা অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে ভারতের কাছে। তাঁর আমলে চিন থেকে বিপুল অর্থ ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। ঋণের অঙ্ক যত বৃদ্ধি পেয়েছিল, ততই দ্বীপরাষ্ট্র এবং ভারত মহাসাগরে বেজিংয়ের দাদাগিরি বৃদ্ধির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল।
সাময়িক শীতলতা কাটিয়ে উষ্ণ হয়েছে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক হামবানটোটা তথা সারা শ্রীলঙ্কার উপর চিনের প্রভাব কমাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছিল। সেই আবহেই সম্প্রতি চিনের অর্থসাহায্যে তৈরি হামবানটোটা বিমানবন্দর ভারতকে হস্তান্তর করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে শুধু ভারত নয়, এই বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়াও।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারত এবং রাশিয়ার দুই সংস্থাকে হামবানটোটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিজ় দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা সরকার। চিনের এক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এই বিমানবন্দর তৈরি করেছিল শ্রীলঙ্কা। কূটনীতিবিদদের একাংশ বলছেন, দুই দেশের সম্পর্ক ত্বরান্বিত করতেই এই নতুন চুক্তি। তার মধ্যেই শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য দু’দেশের ‘বন্ধুত্ব’ আরও জোরালো হওয়ার প্রমাণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy