Advertisement
১৬ মে ২০২৪

বর্ষা মঙ্গল

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৬
Share: Save:

বৃষ্টি এলেই

শীতল চট্টোপাধ্যায়

বৃষ্টি এলেই পাপড়ি মেলে

পথে রঙিন ছাতা,

পা দেখা যায় যায় না দেখা

মানুষজনের মাথা।

ছাঁট আসতেই ঝাঁপ নামিয়ে

ফুটপাথে চা বন্ধ,

তোলা আঁচে দুধ বসানো

বৃষ্টি শোঁকে গন্ধ।

বর্ষা এল

চণ্ডী ভট্টাচার্য

সারা দিন একটানা বৃষ্টি

রোদ নেই একটুও চৌপর

শব্দের জালে জল চড়বড়

ভাঙা টিনে সেই থেকে পড়ছে

রাস্তায় কাদা-জলে প্যাচপ্যাচ

খানা ডোবা ভরপুর বাদ্যে

ঘ্যাকো ঘ্যাকো ডাক ছেড়ে ব্যাঙেরা

ইতিউতি থপাথপ নড়ছে

জল নেমে পাড় ভেঙে হদ্দ

ঘোলা জলে মাছেদের ফুর্তি

ছিপ ফেলে বসে গেছে কেউ-বা

নালসের টোপ তার ভরসা

গাছগুলো বেমালুম ভিজছে

এত ভিজে হবে নাকি সর্দি?

মেঘগুলো ছুটছেই দুদ্দাড়

নবরূপে এল নববর্ষা।

টাপুর-টুপুর

জয়নাল আবেদিন

টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে

টালির চালে গাছের পাতায়

উড়ো উড়ো মন ছুটে বেড়ায়

ভুল শুধু ভুল অঙ্ক খাতায়।

স্রোতের তোড়ে মাছ ভেসে যায়

ইচ্ছে করে ধরি তাকে

জলে নেমে হাত বাড়াতেই

চমকে উঠি মায়ের ডাকে।

বুড়ো হয়েও ট্রামের চোখে

দিব্যি ভাল জ্যোতি,

বৃষ্টি জমা জলেও চেনে

নিজের পথের গতি।

বৃষ্টি যেন ট্রাফিক পুলিশ

বৃষ্টির হাত নাড়ে,

বৃষ্টি ট্রাফিক মেনেই গাড়ি

থামে আবার ছাড়ে।

সাঁঝ নামে যেই গাঁদি পোকা

আলোর খোঁজে মরতে আসে

নদীর বুকে ঢেউয়ের ফণা

দাঁত মেলিয়ে একলা হাসে।

জল থইথই জল থইথই

ঘরে ঘরে হয় খিচুড়ি ভোজ

বাইরে যাব বর্ষাতি নেই

কোথায় আছে ছাতাকে খোঁজ।

ছিঁচকাঁদুনি বৃষ্টি

একটা রাতের বৃষ্টিতে আজ

সবই জলে ভাসে।

দিদি বলে ছিঁচকাঁদুনি

অনেক জাদু জানে

সর্দি কাশি জল কাদা আর

বন্যা ডেকে আনে।

বর্ষা, তুই আমার সই

জলনূপুর পায়ে সোমত্ত সকাল

গাঙে রুই-কাতলা-কই

বর্ষা, তুই আমার সই

বৃষ্টির ভেতর খিচুড়ি দুপুর

কৃষক-কাঁধে মই

বর্ষা, তুই আমার সই

খাল বিল নদী নালা সব

জল থইথই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE