Advertisement
০৯ মে ২০২৪
China Moon Mission

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আস্ত গবেষণাগার তৈরি করবে চিন! জানিয়ে দেওয়া হল সময়ও

চাঁদের দুর্গম দক্ষিণ মেরুতে একটি গবেষণাগার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সেই গবেষণাগার তৈরি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী বেজিং।

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৪
Share: Save:

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আস্ত গবেষণাগার তৈরির পরিকল্পনা করেছে চিন। ২০৪৫ সালের মধ্যে সেই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে তারা। ওই লক্ষ্যমাত্রা ধরেই আপাতত এগোচ্ছে বেজিং। পরিকল্পনা রয়েছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে চাঁদে বহুস্তরীয় গবেষণার ‘প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করা হবে। এই পরিকল্পনা সফল হলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চিন অন্য দেশগুলির চেয়ে অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চাঁদে যে গবেষণাগার তৈরির কথা বলা হচ্ছে, তার নাম ইন্টারন্যাশানাল লুনার রিসার্চ স্টেশন (আইএলআরএস)। মূলত দু’টি ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। প্রথম ধাপটি ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। চিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার প্রাথমিক কিছু আয়োজন করা হবে। নিয়মিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সীমিত সম্পদ ব্যবহারের ভিত্তি তৈরিই হবে প্রথম ধাপের মূল লক্ষ্য। দ্বিতীয় ধাপে আয়োজন আরও কিছুটা এগোবে। ২০৪৫ সালের মধ্যে আরও বিস্তৃত এবং শক্তিশালী করে তোলা হবে চাঁদের গবেষণাগার। এই পর্যায়ে একটি মহাকাশ স্টেশনের পরিকল্পনাও রয়েছে চিনের। যা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে এবং ‘সেন্ট্রাল হাব’ হিসাবে গবেষণায় সাহায্য করবে।

চাঁদে তাদের পরিকল্পনা বোঝাতে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তাদের তৈরি গবেষণাগারের কাল্পনিক অবস্থান এবং কার্যপ্রণালী দেখানো হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরেই চিনের নজরে রয়েছে চাঁদ। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে পৃথিবীর এই উপগ্রহটির উপরেই বেশি জোর দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে চাঁদে তারা মহাকাশযান পাঠিয়েছে। চাঁদের চারপাশে সক্রিয় চিনের একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ। এখনও পর্যন্ত চাঁদে মোট পাঁচটি দেশ মহাকাশযান পাঠাতে পেরেছে। তারা হল, আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত এবং জাপান। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও চিনের কৃতিত্ব সে ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ওই অংশ অপেক্ষাকৃত দুর্গম। সূর্যের আলো ওই অংশে ভাল করে পৌঁছয় না। ফলে সারা ক্ষণই ছায়ায় ঘেরা থাকে দক্ষিণ মেরু। চাঁদের এই অংশে জল থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। সম্ভাবনাময় দক্ষিণ মেরুতে সে কারণেই গবেষণাগার তৈরি করতে চাইছে চিন। চাঁদের এই দুর্গম অংশের কাছে গত বছর চন্দ্রযান পাঠিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE