একদম ক্লাইম্যাক্সে চলে এসেছে আই লিগের লড়াই। আর সেই লড়াই শেষে চ্যাম্পিয়ন কে হবে তা জানতে সবাই আগ্রহী। তবে এ বার আই লিগের শেষ দিনে ফলাফল যা-ই হোক না কেন, আমার কাছে আইজল এফসি চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই থাকবে। কারণ ভারতীয় ফুটবলে একটা বড়সড় বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে ওরা। যা চোখ খুলে দিয়েছে দেশের অনেক বড় বাজেটওয়ালা ক্লাবের।
বিশ্ব ফুটবলে চাপের মুখে পড়ে ফোকাস হারিয়ে তীরে এসে তরি ডোবার অনেক উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু এ বারের আই লিগে এমন একটা ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে যারা খেতাবের গন্ধ পাওয়ার পরে এক বারও পথভ্রষ্ট হয়নি। তার মানে এটাও নয় যে সেই টিমে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পেশাদার মাঠে দলের তরুণ সদস্যদের ঠিকঠাক চালনা করেছেন।
অভিনন্দন খালিদ জামিলের কোচিং-য়ে খেলা আইজলের নবীন ফুটবলারদের। যাদের ফোকাস এক বারও সরেনি। কমেনি আত্মবিশ্বাস।
এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের সকলের চোখ উত্তর-পূর্ব ভারতের ডার্বিতে। যেখানে রবিবার শিলংয়ে লাজং-য়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে আইজল এফসি। আমার মতে খেলাটা এই আই লিগের অন্যতম উপভোগ্য ম্যাচ হতে চলেছে। কারণ ঘরের মাঠে লাজং কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে আইজলের বিরুদ্ধে। আইজলকে খুব সহজে চ্যাম্পিয়ন হতে দেবে না ওরা। কাজেই অপ্রত্যাশিত ফল হলেও অবাক হব না। একই সঙ্গে মোহনবাগান ঘরের মাঠে চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলার মাঝে নজর রাখবে এই নর্থ-ইস্ট ডার্বিতে। কারণ আইজলের বিপর্যয় ওদের সামনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ নিয়ে আসতে পারে।
আইজল এফসি এবং লাজং এফসি—দুই টিমেই ভূমিপুত্রদের আধিক্য রয়েছে। তেমন কোনও বড়সড় নাম নেই টিম দু’টোয়। ফলে দলগত সংহতিই এই দুই দলের প্রধান শক্তি। তাই বিদেশিরাও এই দুই টিমে সহজে মানিয়ে নিতে পেরেছে। আর এটাই এই দুই টিমের লিগ টেবলে উপরের দিকে থাকার অন্যতম বড় কারণ।
এ বারের আই লিগেই শুরুর দিকে বেশ কয়েকটা ম্যাচে সাত জন অনূর্ধ্ব-২২ ফুটবলারকে খেলিয়েছে লাজং এফসি। কিন্তু তা সত্ত্বেও লিগ টেবলে ভদ্রস্থ জায়গায় রয়েছে ওরা। যা প্রমাণ করছে, প্রচুর খরচ করে ফুটবলার আনলেই সাফল্য রাতারাতি চলে আসে না।
তবে আই লিগে সব দলের পারফরম্যান্স দেখার পরে মিনার্ভা প়ঞ্জাব এফসি এবং মুম্বই এফসি-র পারফরম্যান্স দেখে আমি হতাশ। আমার ধারণা ছিল এ বার আই লিগে ওরা ভাল ফল করবে। ডিএসকে শিবাজিয়ান্স বেশ কিছু ভাল ফুটবলার সই করালেও লিগ টেবলে সেই ছাপ ফেলতে পারেনি ওরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy