জুটি: আমনা ও খালিদের দিকে তাকিয়ে দল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ডার্বির আগে কামো স্টিফেন বাই-র মুখোমুখি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই খালিদ জামিলের।
কিন্তু আজ শনিবার কলকাতা লিগের অভিষেক ম্যাচে লাল-হলুদ কোচের পথের কাঁটা হতে পারতেন যিনি সেই কামোর ভাই বাজি আর্মান্ডও খেলতে পারছেন না। ছাড়পত্র না আসায়।
এটা যদি ইস্টবেঙ্গলের স্বস্তি হয়, তা হলে মাঠে নামার আগে লাল-হলুদ শিবির বড় ধাক্কাও খেল। জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে আজই চলে যাচ্ছেন অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল, মহম্মদ রফিক-সহ চার গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। তাদের শুক্রবার বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দিয়েছে ফেডারেশন। এ দিন সকালে অর্ণব-রফিককে ধরেই অনুশীলন হয়েছে খালিদের দলের। সন্ধ্যায় ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল অর্ণবদের, ম্যাচটা খেলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু স্টিভনের কড়া মনোভাব ও জরিমানার ভয়ে রাজি হননি কেউই। অর্ণব বললেন, ‘‘ইচ্ছে থাকলেও খেলে যেতে পারছি না। শাস্তি পেতে হবে পরে যোগ দিলে।’’
শনিবারে কলকাতা লিগ
ইস্টবেঙ্গল: রেনবো (ইস্টবেঙ্গল ৩-০০)।
রাতে এই খবর খালিদের কাছে পৌছে দেওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। ফলে আপাতত প্ল্যান বি নিয়ে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু গতবারের ক’জন ফুটবলার থাকবেন মরসুম শুরুর ম্যাচে? শুক্রবার সকালে যা প্র্যাকটিস হয়েছে তাতে গুরবিন্দার সিংহ এবং লুই ব্যারেটো শুরুতে না খেললে সম্ভবত একজন—সামাদ আলি মল্লিক। ময়দানে বিকেল তিনটেয় খেলা। আশা করা যায় গ্যালারিতে লাল-হলুদ জনতার ঢেউ নামবে। কর্তাদের উচিত মাঠে ঢোকার সময় সবার হাতে একটা করে প্লেয়ার লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া। কারণ বেশিরভাগ ফুটবলারই যে নতুন, কলকাতায় অপরিচিত। আটানব্বই বছরের ইতিহাসে কখনও এ রকম তারকাহীন টিম নিয়ে মশাল বাহিনী নেমেছে? আইএসএলের ধাক্কায় কী অবস্থা! তিন জন বিদেশির মধ্যে দু’জন চেনা মুখ। আল আমনা আর উইলিস প্লাজা। মিচেলও তো নতুন।
কলকাতা লিগে এ বার সত্যিই নতুনের সমারোহ।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদনি চক মার্কেটের একটি সাউন্ড সিস্টেম বিক্রির দোকানে গিয়ে দেখা গেল প্রচন্ড ব্যস্ততা। ফুটবলারদের সই, কার্ড, টিকিটের জন্য হুড়োহুড়ি। হবেই বা না কেন, ওটাই তো ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ রেনবো টিমের কলকাতা শহরের হেড অফিস। ময়দানে তাঁবু নেই, নেই মাঠ। বহুদিন পর ময়দানের শিকড় না থাকা জেলার একটি ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে খেলবে আজ। ব্যারাকপুরের ক্লাবটি এখনও অবশ্য যাযাবর। কাঁচড়াপাড়ায় অনুশীলন করেন কৃষ্ণ বিশ্বাস, শেখ শাহরুখ, সৌরভ দাশরা। জীবনে প্রথমবার বড় দলের সামনে ওঁরা। টিমে মাত্র একজন বিদেশি—ইয়াও বানার্ড। ঘেরা মাঠের শব্দব্রহ্মের সামনে রেনবো রামধনু ছড়াতে পারে কী না সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy