ফের রান পেলেন শ্রীবৎস। জেতালেন দলকে। —ফাইল চিত্র
ফের বঙ্গ ওপেনারদের ব্যাটে উঠল ঝড়। আর তাতেই কাবু বাংলার বিপক্ষ। ও়ড়িশা, ঝাড়খন্ডের পরে এ বার ত্রিপুরা।
মুস্তাক আলি ট্রফির আঞ্চলিক পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে রবিবার বাংলা মূলপর্বে খেলা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল। এ দিন ত্রিপুরার বিরুদ্ধে দুই ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী ও বিবেক সিংহ জুটিই ফের জেতাল বাংলাকে। শ্রীবৎসের ৫৭ বলে ৮২ ও বিবেকের ৪৩ বলে বিধ্বংসী ৭১ রানের ইনিংসেই ত্রিপুরার দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে অনায়াসে পৌঁছে গেল বাংলা। তাও দু’ওভার বাকি থাকতেই।
তিনটি ম্যাচে শ্রীবৎস যথাক্রমে ৭৯, ৫৮ ও অপরাজিত ৮২। অন্য দিকে বিবেক তিন ম্যাচে করেছেন ৬৪, ৬৩ ও ৭১। দুই ওপেনারের এই পারফরম্যান্সই বাংলাকে জিতিয়ে চলেছে। এমন পারফরম্যান্স নিয়ে শ্রীবৎস বলছেন, ‘‘এরকম ফর্মের মধ্যে থাকতে পারাটা দারুণ অভিজ্ঞতা। এই পরিবেশে ব্যাটিং করাটা মোটেই সোজা নয়। এখানে বোলাররাও যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছে। তবে রান তাড়া করাটা বরাবরই আমার পছন্দের।’’
আর বিবেক বলছেন, ‘‘শ্রীবৎসের সঙ্গে আগেও পার্টনারশিপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। সেই অভিজ্ঞতা এখানে সাহায্য করছে। ভাল বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে আমাদের মধ্যে।’’ নিজেকে তাঁর আসল ফর্মে ফিরিয়ে আনা নিয়ে বিবেক বলছেন, ‘‘খারাপ ফর্মের জন্যই একটা সময় বাংলা দল থেকে বাদ পড়েছিলাম (গত বছর বাংলার হয়ে মাঠে নামতে পারেননি)। কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। নির্বাচকরা আমাকে সুযোগও গিয়েছেন, সেজন্যও ধন্যবাদ। আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন তাঁরা, তার যোগ্য সম্মান দিতে চেষ্টা করছি।’’
বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে আগের দিন যে দলের পেসারদের নিয়ে যে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন, তা অবশ্য এ দিনের পরেও কমবে কি না, সন্দেহ। দলের দুই স্ট্রাইক বোলার কণিষ্ক শেঠ ও অশোক ডিন্ডা কেউই এ দিন উইকেট পাননি। কণিষ্ক তিন ম্যাচে মাত্র একটি উইকেট পেলেন। ডিন্ডা নিয়েছেন মাত্র দু’টি উইকেট। তাঁদের এই উইকেটের খরা চিন্তায় রাখার মতোই। বরং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি তিনটি ম্যাচে পাঁচটি উইকেট পেয়ে বোলিংয়েও ভরসা হয়ে উঠেছেন।
এই নিয়ে পরপর তিনবার তিনি টস হারলেও যে জিততে পারলেন, তা দুই ওপেনারের জন্যই। এ দিন শুধু বিবেকের উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। তিনটে ম্যাচে বাংলার মাত্র আট উইকেট পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy