সাক্ষাৎ: কেপ টাউনে অক্ষয় কুমার। ছবি তুলে শাস্ত্রীর টুইট, ‘ডন, রকস্টার, বস্’।
অধিনায়ক বিরাট কোহালির মতোই ইতিবাচক তিনি। হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিলেন, এই ভারতীয় দলে যথেষ্ট দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বিদেশে এসে সিরিজ জেতার মতো ঘটনা তারা ঘটাতেই পারে। নতুন বছরে ৫ জানুয়ারি থেকে কেপ টাউনে শুরু প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সব দিক থেকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা ভারতের আছে, মনে করছেন শাস্ত্রী।
অধিনায়ক কোহালির পাশে বসেই তিনি শনিবার বলে দিলেন, ‘‘এটুকু আমি বলে দিতে পারি যে, এই টিম চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি। আমাকে যদি চার বছর আগে কেউ জিজ্ঞেস করত, এতটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারতাম না। কিন্তু এখনকার এই দলটা অনেক অভিজ্ঞ হয়ে গিয়েছে।’’ এখানেই না থেমে চিফ কোচ যোগ করেন, ‘‘এই টিমের সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হচ্ছে, প্রতিপক্ষ কারা তা নিয়ে ভাবে না। আমরা সব প্রতিপক্ষকেই সম্মান করি। ছেলেরা সব দেশের পিচ এবং পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ভাল করতে চায়।’’
কোহালির নেতৃত্বে এই ভারতীয় দল যে ‘হোম’ বা ‘অ্যাওয়ে’ ভাবনাটাকেই বদলে দিতে চাইছে, তা এ দিন আবার বললেন শাস্ত্রী। ‘‘আমরা হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে হিসেবে দেখি না। নিউল্যান্ডসকে আমরা হোম হিসেবে দেখতে চাই। পিচ দেখো আর যা তোমাদের দেওয়া হচ্ছে, সেই অনুযায়ী মানিয়ে নাও। আমরা কোনও অজুহাত দেব না। কোনও অভিযোগ করব না। দু’টো দলকে একই পিচে খেলতে হবে।’’
দেশ অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা যে তাঁদের দলে মানসিক দিক থেকেও খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন অধিনায়ক ও কোচ দু’জনেই। কোহালি যেমন বলেছেন, ‘‘তিনটে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলেও কিছু হয় না যদি না আমরা সঠিক মানসিক অবস্থানে থাকি।’’ একই সুরে শাস্ত্রী বলে দিচ্ছেন, ‘‘ইংল্যান্ডে গেলে বল সিম করবে। ভারতে এলে বল ঘুরবে। যদি ভাল টেস্ট দল হিসেবে সুনাম অর্জন করতে হয়, তা হলে সমস্ত ধরনের পরিবেশেই মানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি হওয়াটা খুব জরুরি এবং এই টিম ঠিক সেটাই করছে।’’ শাস্ত্রী বলছেন, ভারতীয় দল মাঠে নেমে পড়ার জন্য ছটফট করছে। বলে দিচ্ছেন, ছেলেরা ‘জব স্যাটিসফ্যাকশন’ চায়। আর সেটা তখনই সম্ভব যদি বাইরে গিয়ে তাঁরা ভাল খেলতে পারেন। ‘‘চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে এই দলের ছেলেরা। ওদের মধ্যে ছটফটানি শুরু হয়ে গিয়েছে, কখন টেস্ট ম্যাচটা শুরু হবে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকায় নেমে স্লেজিং নয়, প্রতিপক্ষ দলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন শাস্ত্রী। বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা বরাবরই অলরাউন্ড দল হিসেবে অনেকের চেয়ে এগিয়ে। বিদেশে গিয়ে সবচেয়ে ভাল পারফর্ম করা দল। ওদের রিজার্ভ বেঞ্চ সব সময়ই ভাল ছিল।’’ দ্রুত যোগ করছেন, ‘‘তবে এ বারের সিরিজ খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে।’’
এ দিকে, কোহালি বলেছেন, এ দিন যে প্র্যাক্টিস উইকেট পেয়েছেন, সেটা ম্যাচ পরিস্থিতির পনেরো শতাংশও নয়। সেই কারণেই নিজেদের সুবিধে অনুযায়ী, পিচকে তৈরি করতে বলেছেন তাঁরা। জল দিয়ে রোলার চালিয়ে বাইশ গজকে আরও শক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy