চেন্নাই থেকে কলকাতা আসার পথে ধরা থাকল এই বিরল দৃশ্য। বিমানবন্দরের মেঝেতেই শুয়ে আছেন ধোনি। পাশে কোহালি, হার্দিক। ছবি: টুইটার
এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের বাইশ গজে যুজবেন্দ্র চহাল ও কুলদীপ যাদবদের স্পিনে যেমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন স্টিভ স্মিথরা, বৃহস্পতিবার ইডেনেও কি তেমনই ঘূর্ণিঝড় উঠবে? সম্ভবত না। ইডেনের উইকেটে তেমন ঘূর্ণি নেই বলেই শোনা যাচ্ছে। যা শুনে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার রেখা দেখা দিতে পারে। অস্ট্রেলিয়া শিবির সেক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। ইডেন পিচের হাল-হকিকত দেখতে ত্রিপুরা থেকে এসেছেন বিসিসিআই-এর পূর্বাঞ্চল কিউরেটর আশিস ভৌমিক। তিনিই জানালেন, ‘‘ইডেনের পিচে মাটিতে বালির ভাগ যেহেতু কম এবং এঁটেল মাটির ভাগ যেহেতু বেশি, তাই এই উইকেট দ্রুত ভাঙার সম্ভাবনা কম। চেন্নাইয়ের মতো ঘূর্ণি উইকেট এখানে পাবে না স্পিনাররা।’’
কয়েক দিন আগেই ভি ভি এস লক্ষ্মণ অবাক হয়েছিলেন, এই বর্ষাতেও ইডেনে শক্ত ও বাউন্সে ভরা উইকেট দেখে। আশিসবাবুও এ দিন সন্ধেয় ইডেনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘কলকাতার যা আবহাওয়া আর আগামী ক’দিন যে রকম পূর্বাভাস রয়েছে, তাতে পিচে বেশি বাউন্স থাকবে বলে মনে হয় না। এমন আবহাওয়া থাকলে উইকেট মন্থর হয়ে যেতে পারে। বল ব্যাটে ভাল নাও আসতে পারে। খটখটে রোদ উঠলে বা আবহাওয়ায় আর্দ্রতা কমলে উইকেট শুকনো হতে পারে। তখন প্রচুর রান উঠতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম।’’কিন্তু মঙ্গলবার মাঠে এসে যদি বিরাট কোহালিরা ঘূর্ণি উইকেট দেওয়ার বায়না ধরেন? আশিসবাবু সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘এখানকার মাটি যে রকম হবে, তেমনই তো উইকেট হবে। এই অঞ্চলে ও রকম ঘূর্ণি উইকেট দেওয়া সম্ভব নয়। বল ঘুরবে না, তা বলছি না। আবহাওয়ার জন্য উইকেট স্লথ থাকবে। এতে তো স্পিনাররা সুবিধাই পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy