প্রস্তুতি: ইংল্যান্ডের প্র্যাকটিসে স্যাঞ্চো (সাদা বিব)। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই থেকে কলকাতা এসেছে তাঁর টিম ইংল্যান্ড। আর তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রাতেই।
বুধবার থেকেই সাই-তে দলের সঙ্গে অনুশীলনে নেমে পড়লেন ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসা জ্যাডন স্যাঞ্চো। দেশের হয়ে ১৬ ম্যাচ খেলে যিনি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ১৩ গোল। বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে প্রথমে ছাড়তে চাইছিল না তাঁর ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। পরে ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থার মধ্যস্থতায় অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলতে তাঁকে ছাড়া হয়েছে গ্রুপ লিগের জন্য।
ইংল্যান্ড শিবির যদিও প্রবল চেষ্টায়, নক আউট পর্বে গেলে স্যাঞ্চোকে পাওয়ার জন্য। ইংল্যান্ডের এই আক্রমণাত্মক মিডিও যে দলের অন্যদের চেয়ে আলাদা তা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন মাঠে নামার পরে। অনুশীলন জার্সির উপর সাদা ‘ভেস্ট’ পরে নেমেছিলেন তিনি। গোটা অনুশীলনেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড-এর অ্যাঞ্জেল গোমস এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের নিয়া কার্বির সঙ্গে কিছু সময় আলাদা অনুশীলন করেন তিনি। ইংল্যান্ড দলের ঘণ্টা দু’য়েকের অনুশীলনে এই তিন জনকে মাঝমাঠে দাঁড় করিয়ে ইংল্যান্ড কোচকে পাসিং অনুশীলনও করাতে দেখা যায় একটা সময়। এ বারের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে এই তিন জনই ইংল্যান্ড মাঝমাঠের অন্যতম অস্ত্র।
ইংল্যান্ডের অনুশীলনের সময় ফেন্সিংয়ের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন নিয়া কার্বির দাদা শ্রোকার কার্বি। লন্ডনের এই বাসিন্দা বলছিলেন, ‘‘দেশের বাইরে প্রথম বার ভাইয়ের খেলা দেখতে এসেছি। চিলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগেই বৃহস্পতিবার কলকাতায় চলে আসছেন আমার বাবাও। ভারতে গরম ও আর্দ্রতা সামলানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’’
চিলে আবার এই গরমকে সামলাতে গিয়েই হাসফাঁস অবস্থায়। এ দিন সন্ধ্যায় সাইতে অনুশীলনের পর যা জানালেন, চিলের দুই ফরোয়ার্ড উইলিয়ান গামা এবং দিয়েগো ভ্যালেন্সিয়া। দু’জনেই বলছেন, ‘‘ গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’’
বরং প্রথম ম্যাচে বিপক্ষ ইংল্যান্ডের স্যাঞ্চো, অ্যাঞ্জেল, কার্বি-দের সামলানো নিয়ে অতটা ব্যগ্র নয় চিলে। উইলিয়ান বলছেন, ‘‘ওরা উইং ধরে আক্রমণ শানায়। তা আমরা জানি। সেটা সামলানোর জন্য তৈরি হচ্ছি আমরা।’’
আর দিয়েগো বলে যান, ‘‘ওরা ভাল ফুটবলার। তবে আমরাও কোনও অংশে কম নই। মাঠে খুব বেশি ফারাক হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy