সাফল্য: জয়ীর পদক হাতে সীমা ও সোমনাথ। —ফাইল চিত্র।
‘স্টেট সিনিয়র সুইমিং চ্যাম্পিয়ানশিপ ২০১৭’-এ সফল হল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁতারুরা। বেঙ্গল অ্যামেচার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে কলকাতা সেন্ট্রাল সুইমিং ক্লাবে ১৩ থেকে ১৫ অগস্ট এই সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
সারা রাজ্যের প্রায় ২০০ প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন এখানে। ৮০০ মিটার ও ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা সীমা মান্না। ২০০ মিটার বাটারফ্লাইতে তৃতীয় স্থান দখল করেছে সে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সীমা জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও সিনিয়রদের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে ভাল ফল করতে পেরে খুশি। সিনিয়র বিভাগের ২০০ মিটার বাটারফ্লাই স্টাইলে তৃতীয় হয়েছে কোলাঘাটের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সোমনাথ দুয়া। ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলি বিভাগে পঞ্চম স্থান দখল করেছে সে। সীমা ও সোমনাথ দু’জনেই প্রশিক্ষণ নেয় কোলাঘাট সুইমিং সেন্টারে। কোলাঘাট সুইমিং ক্লাবের সহ-সম্পাদক রবিন কাপড়ি বলেন, “বড়দের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরে এঁদের আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।”
ডাইভিং প্রতিযোগিতায় সফল হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দন বেরা ও নীলেশ গায়েন। হাই বোর্ড ডাইভিংয়ে রুপো পেয়েছে চন্দন, ব্রোঞ্জ পেয়েছে নীলেশ। পাশাপাশি, স্প্রিং বোর্ড ডাইভিংয়ে ৩ মিটারে রুপো জেতে চন্দন, ব্রোঞ্জ জেতে নীলেশ। ১ মিটারে ব্রোঞ্জ পায় চন্দন, রুপো জেতে নীলেশ। তারা দু’জনেই অনুশীলন করে মেদিনীপুর সুইমিং ক্লাবে।
যদিও ক্লাবের ডাইভিং সেটের পরিকাঠামো নিয়ে খুশি নন সম্পাদক তপন সাহা। তাঁর কথায়, “ডাইভিং সেটের পরিকাঠামো অনেক পুরানো। আধুনিক বোর্ড থাকলে ছেলেমেয়েরা অনেক ভাল ফল করতে পারত।” তবে আধুনিক বোর্ড লাগানোর সামর্থ্য তাঁদের নেই বলেই জানিয়েছেন তপনবাবু। আপাতত ৭০ বছর পুরনো সুইমিং ক্লাবটির উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy