Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
গোলদাতা রোনাল্ডোর পরে পাখি ম্যান সিটি গোলরক্ষক মোয়ারেস

‘সেই ক্লপের সামনে খাটল না গুয়ার্দিওলার জাদু’

পেপ গুয়ার্দিওলাকে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছেন লিভারপুল ম্যানেজার। বার্সেলোনা ছেড়ে ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন গুয়ার্দিওলা।

দুরন্ত: ম্যাঞ্চেস্টার সিটি হারলেও বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন গোলরক্ষক মোয়ারেস। ছবি: এএফপি

দুরন্ত: ম্যাঞ্চেস্টার সিটি হারলেও বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন গোলরক্ষক মোয়ারেস। ছবি: এএফপি

দীপেন্দু বিশ্বাস
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:২৪
Share: Save:

লিভারপুল ৩ : ম্যান সিটি ০

লিভারপুল না জার্মানি!

ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র মতো দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা দলের বিরুদ্ধে ৩১ মিনিটেই তিন গোল! বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে দেখে ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম জার্মানি ম্যাচের স্মৃতি ভেসে উঠল। যেখানে ৭-১ গোলে ব্রাজিলকে চূর্ণ করেছিল জার্মানি।

সেই ম্যাচের শুরু থেকে বিপক্ষের উপর প্রবল চাপ তৈরি করা। দল বেঁধে আক্রমণে ওঠা। আবার বিপক্ষের গোল করা আটকাতে রক্ষণ মজবুত করতে সবাই মিলে নেমে আসা। সেই জার্মানির ছায়া যেন দেখলাম য়ুর্গেন ক্লপের দলে। এ একেবারে বদলে যাওয়া লিভারপুল। যার প্রধান কারিগরের নাম ক্লপ।

পেপ গুয়ার্দিওলাকে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছেন লিভারপুল ম্যানেজার। বার্সেলোনা ছেড়ে ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন গুয়ার্দিওলা। সেই সময় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ম্যানেজার ছিলেন ক্লপ। দুই চাণক্যের লড়াই তখন থেকে শুরু হয়েছিল। বুধবার আরও এক বার ক্লপের সামনে খাটল না গুয়ার্দিওলার জাদু। ৪-৩-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন লিভারপুল ম্যানেজার। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট— ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড়ে বিপক্ষের যাবতীয় পরিকল্পা ধ্বংস করে দেওয়া। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। একেবারে জার্মান ফুটবলের রণনীতি।

জার্মানির ফুটবল-দর্শন হচ্ছে, শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত লড়াই করা। কোনও অবস্থাতেই হাল না ছাড়া। সেই মানসিকতা লিভারপুলের ফুটবলারদের মধ্যে দুর্দান্ত ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন ক্লপ। জার্মান ফুটবলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের উত্থানের পিছনে তো ওঁরই হাত। তবে শুধু মানসিকতার পরিবর্তনেই তো আর সাফল্য পাওয়া যায় না। জার্মানির ফুটবল দলের সাফল্যের আরও একটা কারণ, অসাধারণ ফিটনেস। ক্লপের কোচিংয়ে লিভারপুলের ফুটবলারদের ফিটনেসও আমাকে বিস্মিত করেছে। পুরো ম্যাচটা একই রকম গতিতে খেলল সাদিও মানে, রবের্তো ফির্মিনহো-রা।

১৪ মিনিটে গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেয় মহম্মদ সালাহ। চেম্বারলিন গোল করে ২৩ মিনিটে। ৩৩ মিনিটে গোল সাদিও মানের। ম্যান সিটি গোলরক্ষক এদেরসন মোয়ারেস দুর্ধর্ষ না খেললে হয়তো আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসত ইপিএল খেতাব নিশ্চিত করে ফেলা দলের শিবিরে।

আমার খারাপ লাগছিল গুয়ার্দিওলাকে দেখে। ম্যান সিটি-কে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন করার স্বপ্ন নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ম্যানেজার। বুধবার ০-৩ হারের পরে সেই স্বপ্ন হয়তো এ বারও অধরা থেকে যাবে গুয়ার্দিওলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE