—ফাইল চিত্র।
গত বছর রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টসের হয়ে সফল ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পরেও এ বছর আইপিএলে খেলা নিয়ে নিশ্চিত নন মনোজ তিওয়ারি। পুণের ফ্র্যাঞ্চাইজিই যে এ বার নেই। তাই ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে আরও কার্যকর করে তোলার জন্য তাঁর নতুন অস্ত্রে নিয়মিত শান দিচ্ছেন বাংলার অধিনায়ক।
তাঁর নতুন বোলিং অ্যাকশনই সেই নতুন অস্ত্র। রাঁচীতে জাতীয় টি-টোয়েন্টির আঞ্চলিক পর্বে বাংলার নির্ভরযোগ্য বোলাররা যেখানে কেউ দু’টি বা তিনটির বেশি উইকেট পাননি, সেখানে মনোজ একাই ন’টি উইকেট পান। তাই এখন বোলিংয়ে মন দিচ্ছেন মনোজ। রবিবার মূলপর্বে বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ম্যাচ। তার আগে নেটে বোলিংটা ভালমতো ঝালিয়ে নিলেন তিনি।
এই নিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘নিজেই ভেবে বার করেছি, আরও কী ভাবে কার্যকর করে তোলা যায় বোলিংকে। তাই অ্যকশনটাও একটু অন্য রকম করেছি।’’ জাতীয় টি-টোয়েন্টির মূলপর্ব এ বার কার্যত আইপিএল ট্রায়াল। ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিরাও এ ক’দিন শহরে থাকবেন ক্রিকেটারদের বাছার জন্য। সেই দৌড়ে থাকতে মরিয়া মনোজও। যার জন্য নিজের বেস প্রাইস যেমন কমিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করেছেন, তেমনই বোলিংয়ের এই ধার বাড়ানোর চেষ্টা তাঁর।
নতুন এই অ্যাকশনে বল ডেলিভারির সময় মনোজের হাত আসছে কাঁধের পাস দিয়ে। কাঁধের ওপর দিয়ে নয়। বলের গতি তাতে আরও বাড়ছে, এর সঙ্গে লেগ স্পিন ও গুগলি মিশে বোলিংয়ে ধার আরও বাড়ছে তাঁর। তবে দেখার, ইডেনের গতি ও বাউন্সে ভরা বাইশ গজেও মনোজের এই বল কার্যকর হয় কি না। মনোজ বলেন, ‘‘এ বার এসজি-র সাদা বলে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। সন্ধের পরে যে বল বেশি সুইং করে। তাই খেলাটাও অন্য রকম হবে।’’ এই ‘অন্যরকম খেলা’ নিয়েও চাপে বাংলা। আঞ্চলিক পর্বে দলের ব্যাটসম্যানরা সফল হলেও ইডেনের এই উইকেটে সূর্য ডোবার পরে তাঁরা এই দাপট বজায় রাখতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy