চেলসির বিরুদ্ধে গোল খরা কাটালেন মেসি। ছবি: এএফপি।
সব মিলিয়ে সময়টা প্রায় ৭৩০ মিনিট। চেলসি ডিফেন্সের মুহূর্তের ভুলে জালে বল জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন লিওনেল আন্দ্রে মেসি। মঙ্গলবার রাতে চেলসির বিরুদ্ধে ৭৩০ মিনিটের গোল খরা কাটানোর পাশাপাশি মেসির যে গোল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গেল বার্সেলোনাকেও। ১-১ ড্রয়ের ম্যাচ থেকে মহা মূল্যবান অ্যাওয়ে গোল নিয়ে ফিরলেন মেসিরা।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির বিরুদ্ধে এ দিনের ম্যাচে বেশির ভাগ ফুটবল বিশেষজ্ঞই এগিয়ে রাখছিল বার্সাকে। ইপিএলে খুব একটা ভাল জায়গায় না থাকা ব্লু আর্মির বিরুদ্ধে যাচ্ছিল দাভিদ সিলভার মতো অভিজ্ঞদের না পাওয়াও।
কিন্তু সব হিসাব উল্টে দিয়ে মেসি-ইনিয়েস্তা-রকিটিচদের কার্যত বোতলবন্দি করে রাখে চেলসি রক্ষণ। ফুটবল ঈশ্বর বিরূপ না হলে জিতেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ ছাড়তে পারতেন অ্যাজার-উইলিয়ানরা। প্রথমার্ধেই উইলিয়ানের দু’টি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ভয়ঙ্কর অ্যাজারের একটি শট উড়ে যায় ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে। বল পজিশন বেশি থাকলেও বার্সার সব আকারমণ হারিয়ে যাচ্ছিল চেলসি রক্ষণের সামনে।
গোল করে ম্যাচের সেরা উইলিয়ান। ছবি: এপি।
কাজে লেগে যায় অ্যাজারকে ফলস নাইনে খেলানোর কন্তের সিদ্ধান্ত। গোলশূন্য ভাবে প্রথমার্ধ শেষ হলেও তাই খানিকটা এগিয়েই যেন দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে চেলসি। বাড়তে থাকে আক্রমণ। ফলও মেলে হাতেনাতে। ৬২ মিনিটে ম্যাচের সেরা উইলিয়ানের গোলে এগিয়ে যায় হোমটিম।
হিসাব উল্টে বার্সাকে হারানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করা চেলসি সমর্থকদের উল্লাস থেমে যায় রক্ষণের এক মুহূর্তের ভুলে। পুরো ম্যাচে দুরন্ত খেলা আন্দ্রে ক্রিস্টেনসেনের মিসপাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান লিও মেসি। ম্যাচ শেষে অবশ্য ২১ বছরের তরুণ ডিফেন্ডারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন চেলসি ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের খেলা ১৪ মার্চ। পরের রাউন্ডে যেতে হলে ক্যাম্প ন্যু-এর সেই ম্যাচে গোল করতেই হবে চেলসিকে। ঘরের মাঠে মেসিরা যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা জেনেই এখন সুযোগ নষ্টের জন্য হাত কামরাচ্ছে চেলসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy