জয়ের উল্লাসে রাজস্থান রয়্যালস।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে তুমুল লড়াই করে কর্নাটকের স্পিনার অলরাউন্ডার কৃষ্ণাপ্পা গৌতমকে ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ছিনিয়ে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। রবিবার জয়পুরে সেই গৌতম বোঝালেন, তাঁর জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের সেই লড়াই মোটেই বৃথা যায়নি।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, ২০ লক্ষ টাকার ন্যূনতম মূল্যের এই অফস্পিনারকে কেন এত দাম দিয়ে নেওয়া হল? রবিবার সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে গৌতম তাঁদেরও জবাব দিলেন দলকে হারের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনে। তবে বলের ঘূর্ণিতে নয়, ব্যাটে ঝড় তুলে। ১১ বলে ৩৩ রান তুলে রবিবার অজিঙ্ক রাহানের মুখে হাসি ফোটালেন গৌতমই।
টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স করে ১৬৮ । সূর্যকুমার যাদব ৪৭ বলে ৭২ ও ঈশান কিসান ৪২ বলে ৫৮ রান করার পরে একই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ে জোর ধাক্কা দেন রাজস্থানের ক্যারিবিয়ান পেসার জোফ্রা আর্চার। ম্যাচের শেষ দিকে ফের রোহিত শর্মারা ধাক্কা খান গৌতমের ব্যাটিংয়ে। দলকে জিতিয়ে ২৯ বছর বয়সি অফস্পিনার বলেন, ‘‘ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল ব্যাটিং করেছিলাম। ক্যাপ্টেন বলে দিয়েছিল নিজের ওপর আস্থা রাখো। তা-ই করেছি। তিন বলে ছয় দরকার যখন, তখন একটা ছয়-ই মারার কথা মাথায় ঘুরছিল।’’
সঞ্জু স্যামসন ও বেন স্টোকস জুটি ৭২ রান তোলার পরেও রাজস্থান রয়্যালস ক্রমশ হারের দিকে চলে যাচ্ছিল। জয়ের জন্য যখন পাঁচ ওভারে ৫০ রান দরকার তাদের, তখনই যশপ্রীত বুমরার বল ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে স্যামসন ফিরে যান। পরের বলেই বোল্ড জস বাটলার। এই জায়গা থেকেই দলকে টেনে তোলেন গৌতম।
১৮ ও ১৯ তম ওভারে তাঁর তিনটি চার ও একটি ছয় দলকে ফের জয়ের দিকে নিয়ে যায়। এই দু’ওভারে ৩৩ রান তোলেন গৌতম ও আর্চার। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দশ রান দরকার ছিল। হার্দিক পাণ্ড্য প্রথম বলেই আর্চারকে ফেরান। তবে দ্বিতীয় বলেই গৌতম তাঁকে থার্ড ম্যান দিয়ে চার হাঁকান। শেষে জিততে যখন তিন বলে ছ’রান প্রয়োজন, তখনই গৌতম মিড উইকেটের উপর দিয়ে হল উড়িয়ে দেন জয় ছিনিয়ে নিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy