সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার একটি চিঠিতে টালমাটাল হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক।
বিতর্কের কারণ— বিরাট কোহালিদের বর্ধিত টাকার চুক্তি দেওয়া। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা তাদের চিঠিতে বিসিসিআই-কে লিখেছে যে বোর্ডের ইতিহাসে এতদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সাধারণ সভায়। কোহালিদের যদি টাকা বাড়াতেই হয় সেটাও যেন সাধারণ সভায় বোর্ডের সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করা হয়। সেই সঙ্গে সৌরাষ্ট্র আরও বলেছে, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে দশ বছরের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে টেন্ডার ঢাকা হবে। এটা বিরাট একটা আর্থিক লেনদেনের বিষয়। এই বিষয়েও যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বোর্ডের সাধারণ সভায় তা আলোচনা হওয়া উচিত।
কোহালিরা এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ইংল্যান্ডে। তাঁরা রওনা হওয়ার পরেই নতুন কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে বোর্ড। ফলে মনে করা হচ্ছিল, ব্যাকফুটে অনিল কুম্বলে। কিন্তু সৌরাষ্ট্রের চিঠিতে যা দাঁড়িয়েছে তাতে অনেকেরই মনে হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গেও খুব একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক নেই বোর্ডের।
উত্তরাঞ্চলের এক ক্রিকেট কর্তা শুক্রবার রাতে বলছিলেন, ‘‘অনেক বছর হয়ে গেল বোর্ডে আছি। কখনও শুনিনি যে ভারতীয় কোচ টাকা বাড়ানো নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন। তাঁর তো ক্রিকেট সংক্রাম্ত বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার কথা। কোথায় ভারতীয় দলের কোচ বলবেন ইংল্যান্ডে বোলিং কোচ প্রয়োজন আছে কি নেই, তা না করে তিনি টাকা বাড়ানোর কথা বলছেন।’’ তাঁর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে নতুন যে আর্থিক কাঠামো আনার চেষ্টা করছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা, সেটা বোর্ডকর্তারা মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না।
ঘটনা হচ্ছে, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার প্রধান নিরঞ্জন শাহ এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন বোর্ড সচিব অমিতাভ চৌধুরি ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)-কে। যদিও লোঢা কমিটির সংস্কার অনুযায়ী সৌরাষ্ট্র কর্তারা এখন সংস্থায় থাকারই কথা নয়। বহু বছর ধরে তিনি সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থায় ছড়ি ঘোরাচ্ছেন এবং তাঁর বয়সও সত্তর পেরিয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাঁর এই চিঠির কী গুরুত্ব? কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের দল এই চিঠিকে যে একেবারে উড়িয়ে দিতে পারবে না সেটাও নানা মাধ্যম থেকে শোনা গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy