নেমার না লুকাকু, কে জিতবেন?
ব্রাজিল মানেই সাম্বা। ব্রাজিল মানেই আকর্ষণীয় ফুটবল। ব্রাজিল মানেই ছন্দময় ফুটবল। যা প্রাণে তোলে খুশির তুফান।
তাত্পর্যের হল, বেলজিয়ামও ইউরোপীয় ঘরানার মধ্যে থেকেই চেষ্টা করে আক্রমণাত্মক ফুটবলের। চেষ্টা করে ডাইরেক্ট ফুটবল খেলার। আজ রাত সাড়ে এগারটায় কাজান এরিনায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল সেজন্যই উত্তেজক হতে চলেছে। কারণ, দুই দলই তুলতে চাইবে ঝড়।
ব্রাজিল মানে একা নেমার নন। রয়েছেন কুটিনহো, উইলিয়ানরাও। তবে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় কাজিমিরোর না থাকা সমস্যা হয়ে উঠতেই পারে। কাজিমিরোর পরিবর্তে নামতে পারেন ফের্নান্দিনহো। তাঁর ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ, এডেন অ্যাজার, রোমেলু লুকাকু, কেভিন দে ব্রুইন, মারুয়ান ফেলাইনিরা যাতে মেজাজে না থাকে, তা দেখার দায়িত্ব ফের্নান্দিনহোরই।
বেলজিয়াম শিবির আবার হুমকি দিয়েছে যে কোয়ার্টার ফাইনালে নামার জন্য দল তৈরি। ফুটবলাররা ছটফট করছেন অধীর আগ্রহে। কোথাও থাকছে বার্তা যে ব্রাজিলকে ফেরত পাঠানোর জন্য দল প্রস্তুত। যে ভাবে জাপানের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন অ্যাজাররা, সেই আত্মবিশ্বাসই এতে প্রতিফলিত।
ব্রাজিলও প্রস্তুত। নেমার ছন্দে ফিরেছেন। গোলও করছেন। পিছন থেকে দলকে খেলাচ্ছেন কুটিনহো। ব্রাজিলের রক্ষণকে বলা হচ্ছে প্রচণ্ড শক্তিশালী। রাশিয়া বিশ্বকাপ জুড়ে থিয়াগো সিলভা, মিরান্ডারা ভরসা জুগিয়েছেন দলকে। এই ম্যাচেও তেমনই প্রত্যাশা। বেলজিয়াম দুই প্রান্ত থেকে প্রচুর ক্রস পাঠাতে পারে। তাই ব্রাজিলের দুই সাইড ব্যাক ফিলিপে লুইস ও পাগেনারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝমাঠেই হবে আসল লড়াই।
ব্রাজিলই অবশ্য ফেভারিট। পাঁচবারের বিশ্বজয়ীদের লক্ষ্য হেক্সা বা ষষ্ঠ খেতাব। অন্যদিকে, প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দল বলা হচ্ছে বেলজিয়ামকে। চার ম্যাচে রেড ডেভিলসরা করে ফেলেছে এক ডজন গোল। তাই লড়াই জমজমাট।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: রিয়ালকে গুডবাই, জুভেন্তাসেই সিআর সেভেন!
আরও পড়ুন: টুইটারে ভক্তকে খুঁজে টি-শার্ট উপহার বেলজিয়ামের মিগনোলেটের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy