ছবি সংগৃহীত
করোনা ও টাইফুনের আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হয়েছিল টোকিয়ো ২০২০ অলিম্পিক গেমস। টানা ১৬ দিন অ্যাথলিটদের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে রবিবার আতসবাজি ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে শেষ হল এ বারের অলিম্পিক্স।
জাপানের রাজধানীতে এ বারের অলিম্পিক্স আয়োজন করার বিরুদ্ধে ছিলেন সে দেশের একাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। বহু মানুষের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে আয়োজন করা হয় ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।’ রবিবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পরে পতাকা তুলে দেওয়া হল প্যারিস গেমস আয়োজনকারীর হাতে। সেই পতাকায় বার্তা লেখা, ‘কোভিডে প্রাণ হারানোর মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা। আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা’।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থোমাস বাখ বলেন, ‘‘অ্যাথলিটরা এ বার আরও শক্তিশালী হয়ে এসেছিলেন। তাঁরা সাফল্যের শীর্ষবিন্দু ছুঁয়েছেন। সব চেয়ে বেশি গতি নিয়ে এ বারের গেমস শেষ করলেন। কারণ, করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে তাঁদের।’’ যোগ করেছেন, ‘‘খেলার মাধ্যমেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি আমরা। অ্যাথলিটরাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করেছেন। অতিমারির পরে এই প্রথম বার সারা বিশ্বের মানুষ একসঙ্গে বসে খেলা দেখেছেন। প্রত্যেক দেশ থেকে প্রতিযোগীরা টোকিয়োয় এসেছেন অলিম্পিক্সে অংশ দিতে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও যে সুষ্ঠু ভাবে অলিম্পিক্স আয়োজন করা গিয়েছে, তাতেই আমরা খুশি।’’
বাখ বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন আয়োজক দেশ জাপানকে। তিনি বলেছেন, ‘‘টোকিয়োয় এ ভাবে গেমস আয়োজন করা হবে, অনেকেই ভাবেননি। প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন, অতিমারির জন্য অলিম্পিক্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জাপান দেখিয়ে দিল, কী ভাবে আয়োজন করতে হয় বিশ্বের সব চেয়ে বড় প্রতিযোগিতা।’’
টোকিয়োয় অলিম্পিক্সের মশাল নেভানোর পরে জায়ান্ট স্ক্রিনে চালানো হয় ভিডিয়ো। অ্যাথলিটদের সামনেই দেখানো হল আসন্ন ২০২৪ অলিম্পিক্স কী ভাবে আয়োজন করতে চায় প্যারিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy