অভিনব এই টানেল দিয়ে বেরিয়ে মাঠে নামবে টিম।
লেজার শো। নাচ। ঢাউস সাউন্ড সিস্টেম বাজছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির ধাক্কায় বুধবার সন্ধ্যায় আটলেটিকো দে কলকাতার প্রাথমিক পর্বের প্রস্তুতি ধাক্কা খেল। অন্ধকারেই অনুশীলন শুরু করতে হল লুইস গার্সিয়াদের।
ছিল ক্লোজড ডোর অনুশীলন। সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। ফুটবলের আদলে তৈরি নতুন টানেল দিয়ে লুই গার্সিয়া ও কলকাতার পুরো দল যখন ঢুকল তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। কিন্তু মাঠে ঢুকে কোচ হাবাস দেখলেন ফ্লাডলাইট তো জ্বলেইনি, উল্টে পুরো মাঠ জুড়ে লেজার শো-এর আলো-আঁধারি চলছে।
মিনিট কুড়ি পর আলোর সমস্যা মিটলেও, দলের আইকন লুই গার্সিয়া আবার চিন্তার কারণ হয়ে থাকলেন কোচ হাবাসের জন্য। এমনিতেই বছরের শুরুতে অবসর নেওয়ায় তাঁর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। তার উপরে আবার প্র্যাকটিসেও বেশ ক্লান্ত দেখাল প্রাক্তন লিভারপুল তারকাকে। নিজেদের মধ্যে প্র্যাকটিস ম্যাচে বল বেশিক্ষণ নিজের দখলে রাখতে পারছিলেন না গার্সিয়া। ছোট ছোট পাস ঠিক-ঠাক বাড়ালেও, লং বল দেওয়ার সময় সঠিক নিশানাতেও পাঠাতে পারছিলেন না বল। ওঠানামাতেও সমস্যা হচ্ছিল।
দলের সেরা ফুটবলারের সমস্যা দেখে হাবাসও মাঝেমধ্যে ম্যাচ থামাচ্ছিলেন। বোঝাচ্ছিলেনও। প্র্যাকটিস শেষ হওয়ার পরও গার্সিয়াকে আলাদা অনুশীলন করালেন আটলেটিকো দ্য কলকাতার কোচ। পাশাপাশি আবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে কী দল নামাবেন তারও ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন হাবাস। প্র্যাকটিস ম্যাচে এক দলে ছিলেন বেশিরভাগ ভারতীয় ফুটবলার। আর অন্য দলে ছিলেন বোরহা ফার্নান্দেজ, ইয়ফ্রের মতো বিদেশি। রক্ষণে খেলানো হল সিলভঁ মনসুরু, বোরহা ফার্নান্দেজ ও হোসে রে-কে। ফরোয়ার্ডে ফিকরু তোফেরা-বলজিত্ সাইনিকে নিয়েই পরীক্ষানিরীক্ষা সারলেন স্প্যানিশ কোচ। পরে আবার দু’দলকে মিশিয়েও খেলালেন হাবাস। গার্সিয়া দু’টো দলের হয়েই খেললেন। ফরোয়ার্ডের একটু পিছন থেকে।
গোটা অনুশীলনেই ধরা পড়ল স্প্যানিশ ফুটবল ঘরানা। অর্থাত্ দ্রুত গতিতে বল পাস দেওয়া-নেওয়া। খুব বেশি শারীরিক প্র্যাকটিস নয়, বলের উপরেই দখল রাখার চেষ্টা। স্পেনের মতো অফ দ্য বল সঠিক পজিশন নেওয়া। উইং থেকে আক্রমণ গড়ে তোলা। ফরোয়ার্ডদের অনবরত ক্রস বাড়িয়ে যাওয়া। আর মাঝমাঠে খেলা ফুটবলারদের ট্র্যাক-ব্যাক করে রক্ষণকে সাহায্য করা।
কলকাতার প্র্যাক্টিস দেখতে এ দিন হাজির হলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া। কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি দেখলেন সঞ্জু-মোহনরাজদের প্র্যাকটিস।
ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy