বাধ্য হয়ে অবসর নিলেন হেস্টিংস। ফাইল চিত্র।
বল করলেই মুখ দিয়ে রক্ত। অনেক পরীক্ষা করিয়েও চিকিত্সকরা নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না। আশঙ্কা থাকছে আরও বাড়াবাড়ি কিছু হওযার। আর এই পরিস্থিতিতেই সমস্ত রকম ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে বাধ্য হলেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্টবোলার জন হেস্টিংস।
টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি গত বছরের অক্টোবরে টেস্ট ও একদিনের ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু এ বার কুড়ি ওভারের ফরম্যাট থেকেও সরে যেতে বাধ্য হলেন। এখনও পর্যন্ত এক টেস্ট, ২৯ ওয়ানডে ও নয় টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন হেস্টিংস।প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৭৫টি। খেলেছেন ১১৩ লিস্ট এ ম্যাচ। সার্বিক ভাবে খেলেছেন ১০৬ টি-টোয়েন্টিও। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন।
গত মরসুমে বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন স্টারসের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এই দলের হয়ে টানা সাত মরসুমে খেলেছেন তিনি। আসন্ন মরসুমে বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে খেলার কথা তাঁর। কিন্তু, শারীরিক কারণে তা পারলেন না তিনি। হেস্টিংস বলেছেন, “দীর্ঘকালীন সুস্থতার ক্ষেত্রে অনেক ধূসর জায়গা রয়েছে। এটা থেকে কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা, মাঠে ভয়াবহ ধরনের কিছু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, বোঝা যাচ্ছে না। ডাক্তাররা হ্যাঁ বা না, কিছুই বলছেন না। আর এটাতেই অস্বস্তি হচ্ছে। গত পাঁচ-ছয় মাস আমার কাছে খুব কঠিন পিরিয়ড ছিল। তবে এখন মানিয়ে নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: ওয়ান ডেতে দেড়শোর বেশি রান করেও এঁরা জেতাতে পারেননি দলকে
আরও পড়ুন: শামিকে চাই, বাংলা জানাল বোর্ডকে
কয়েক বছর আগে প্রথমবার এই সমস্যায় পড়েছিলেন হেস্টিংস। সেটাই ক্রমশ চরম আকার নিয়েছে। বল করার জন্য যখনই লাফিয়ে উঠে পা রাখছেন জমিতে, সেই ঝাঁকানিতেই হচ্ছে সমস্যা। ফুসফুসে ঘটছে রক্তক্ষরণ। কাশতে কাশতে উঠে আসছে রক্ত। হেস্টিংস সেজন্যই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি বলেছেন, “বিগ ব্যাশ খেতাব জিততে পারলে ভাল লাগত। এটা দুর্দান্ত একটা প্রতিযোগিতা। আর আমাদের সম্ভাবনাও ছিল এ বার।” কে জানে এই আক্ষেপ হয়তো সারা জীবনই সঙ্গী থাকবে ৩৩ বছর বয়সীর!
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy