একই দিনে ক্রিকেট এবং ফুটবলকে মিশিয়ে দিলেন ক্রীড়া জগতের দুই নক্ষত্র ব্রায়ান লারা এবং ডেভিড বেকহ্যাম। একদিকে ২ মে যেখানে জীবনের ৪২টি বসন্ত কাটিয়ে ফেললেন বিশ্ব ফুটবলের পোস্টার বয় সেই দিনই ৪৭ এ পা রাখলেন ক্রিকেট বিশ্বের আর এক নক্ষত্র ব্রায়ান লারা। ডেভিড যদি হন ফুটবলের যুবরাজ তাহলে ব্রায়ান নিঃসন্দেহে আধুনিক ক্রিকেটের ডন। নিজের বর্ণময় কেরিয়ারে বহু রুপকাথার রচনা করে গিয়েছেন ডেভিড। ১৯৭৫ সালের ২ মে লন্ডনের লিটনস্টনে জন্মগ্রহন করেন বেকহ্যাম। পরেরটা ইতিহাস। ১৯৯২ সালে ম্যানচেস্টারের হয়ে বিশ্ব ফুটবলের আঙিনায় পা রাখেন বেকহ্যাম। এরপর ধীরে ধীরে রিয়াল মাদ্রিদ, লা গ্যালাক্সি, এসি মিলান হয়ে প্যারিস সাজাঁতে বর্ণময় কেরিয়ার শেষ হয় বেকহ্যামের। এর মাঝে ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। যার মধ্যে ৫৯টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন বেকহ্যাম। ক্লাবের হয়ে প্রায় সব ট্রফিই রয়েছে বেকহ্যামের ঝুলিতে। ম্যানচেষ্টারের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, চ্যাম্পিয়ান্স লিগ, রিয়ালের হয়ে লা লিগা, লা গ্যালাক্সির হয়ে মেজর লিগ সকার, প্যারিস সাঁজার হয়ে লিগ ওয়ান সবই জিতেছেন তিনি। অন্যদিকে ব্রায়ানের কৃতিত্বও কোনও অংশে কম নয়।
আরও খবর: বিরাটের কোলে এ কোন সেলেব কন্যা?
১৯৬৯ সালের ২ মে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সান্টাক্রুজে জন্ম নেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম নক্ষত্র ব্রায়ান। ১৯৯০ সালের ৯ নভেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রথম বিশ্ব ক্রিকেট আঙিনায় পা রাখেন লারা। তার পরটা সবার জানা। গোটা ক্রিকেট জীবনে একাধিক রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে লারা হয়ে উঠেছেন অন্যতম সেরা। কেরিয়ারে বহু স্মরণীয় কীর্তি স্থাপন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁ হাতি ওপেনার। তাঁর মধ্যে অন্যতম সেরা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্ব্বোচ্চ রানের রেকর্ড। যা আজও তাঁর দখলে। লারার ৪০০ রানের অপরাজিত ইনিংস আজও বিস্ময়ের সৃষ্টি করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মনে। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে একার হাতে পন্টিং-স্টিভের অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে ট্রফি ছিনিয়ে আনার কৃতিত্ব তাঁর সেরা ইনিংস গুলির মধ্যে একটি। লারার ব্যাটিং শৈলী তাঁকে করে তুলেছে অনন্য। এক সময় সচিনের সঙ্গে তুলনা করা হত ব্রায়ান চার্লস লারার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy