দলকে জেতালেন শ্রীবৎস গোস্বামী।
রাঁচীর পাটা উইকেটে ওপেনারদের দাপটেই ওড়িশাকে সাত উইকেটে হারাল বাংলা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করেও ম্যাচ হারতে হল ওড়িশাকে। প্রথম ম্যাচে চার পয়েন্ট ঘরে তুলেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি শুরু করল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা।
টুর্নামেন্টের পূর্বাঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচে ২০ ওভারে ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী, বিবেক সিংহরা। ওপেনারদের ১৩৮ রানের পার্টনারশিেপর সাহায্যে জয় নিশ্চিত করলেন মনোজ তিওয়ারিরা। ৫২ বলে ৭৯ রান করেছেন শ্রীবৎস। ৬৪ রান করে তাঁর পার্টনারকে যোগ্য সহায়তা করেছেন তরুণ ওপেনার বিবেক সিংহ। শেষের দিকে দু’ইউকেট পড়ে গেলেও ১৮.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় বাংলা। ম্যাচ শেষে রাঁচী থেকে ফোনে শ্রীবৎস বলেন, ‘‘বাংলাকে আবার জেতাতে পেরে দারুণ লাগছে। বিবেকও বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। তাই সে রকম চােপ পড়তে হয়নি আমাদের।’’
ম্যাচের প্রথম থেকেই জেএসসিএ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে বেশ দ্রুত ব্যাটে বল আসছিল। ওড়িশার ওপেনার রাজেশ ধুপের-এর ৯০ রানের ইনিংস ছাড়া তাঁদের কোনও ব্যাটসম্যান রান পাননি। উইকেট দেখে তিন পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। যদিও অশোক ডিন্ডা, কণিষ্ক শেঠরা কোনও উইকেট তুলতে পারেননি। মনোজ তিওয়ারি ও ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় দু’টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাকে ম্যাচে ফেরান। ম্যাচ শেষে শ্রীবৎস বলেন, ‘‘উইকেট ভাল থাকায় ব্যাটে খুব ভাল বল আসছিল। তাই হয়তো পেসাররা সে রকম সাফল্য পায়নি। তার সঙ্গে বাউন্সও বেশি ছিল না। তবে মনোজ ও ঋত্বিক কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের ভাল মানিয়ে বল করেছে।’’ওড়িশার বিরুদ্ধে ভাল ব্যাট করায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই উইকেটরক্ষকের। গত বারের মতোই এ বারে তাঁর ফর্ম ধরে রাখতে মরিয়া শ্রীবৎস। তিনি বলেন, ‘‘গত বার ওপেন করে সফল হওয়ার পরে এ বারেও প্রথম ম্যাচে ওপেন করলাম। তাই রান পেয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। আশা করছি গোটা টুর্নামেন্টে এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারব।’’
পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি দলের মধ্যে যে কোনও একটি দল টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। অন্য দিকে অসমকে হারিয়েছে ত্রিপুরা। পরের ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ ঝাড়খণ্ড। তাঁদের বিরুদ্ধে জিততে পারলে মূল পর্বের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন মনোজরা। এই ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী দলের উইকেটরক্ষক। শ্রীবৎসের বক্তব্য, ‘‘এই পারফরম্যান্সটা ধরে রাখলে ঝাড়খণ্ডকেও আমরা হারাতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy