বাংলাকে টানলেন প্রজ্ঞান ওঝাও।
সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে উইকেটে গতি-বাউন্স কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার পেসারদের ধারও যেন ক্রমশ কমে গেল। শনিবার শেষ বেলায় বাংলার দুই স্পিনার আমির গনি ও প্রজ্ঞান ওঝা বিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস না নামালে রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচ থেকে বাংলার তিন পয়েন্টও পাওয়া হত না বোধহয়।
বাংলার ৪৬৬-র পাল্টা ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ এ দিন তাদের ধরেই ফেলবে বলে মনে হচ্ছিল একটা সময়। সাড়ে চারশোর উপর রান তুলেও প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ে তিন পয়েন্ট খোয়ানোর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? মেরঠের ২৭ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান উমঙ্গ শর্মা (১৩৬) আর মুম্বই থেকে আসা উনিশের সরফরাজ খান (৮৫) দু’জনে মিলে যে দেওয়াল তুলে দিয়েছিলেন বাংলার পেস বোলারদের সামনে, তা মনোজ তিওয়ারিদের কাছে ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ওঝার একটা ফ্লাইটেড বলে ধোঁকা খেয়ে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান উমঙ্গ। উত্তরপ্রদেশ তার আগে পর্যন্ত ছিল ৩২১-৬। তাদের শেষ চার উইকেট পড়ে ৮৯ রানের মধ্যে। এই ধস নামান গনি-ই। তিন উইকেট নিয়ে। ৪১০-এ অল আউট হওয়ায় উত্তর প্রদেশ বাংলার চেয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানে পিছিয়ে। দিনের শেষে বাংলা ওপেনাররা ৩০-এ থামায় সেটা বেড়ে হয়েছে ৮৬। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলা তিন পয়েন্ট নিয়েই বোধহয় সন্তুষ্ট থাকবে।
উমঙ্গ ও সরফরাজ দু’জনে মিলে ১৩৯ তোলার পর দুই স্পিনার পীযূষ চাওলা (৩৪) ও কুলদীপ যাদবকেও (৬৩) বাগে আনতে বঙ্গ বোলারদের অনেক সময় লেগে যায়। গত বছর রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার বোলারদের যে দৈন্যদশা দেখা গিয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা চলছে এ বারও। প্রজ্ঞান ওঝা অবশ্য এর জন্য উইকেটকেই দুষছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই উইকেটে ভাল বোলিং করা বেশ কঠিন। একেবারে স্লো আর পাটা উইকেট। না আছে টার্ন, না বাউন্স।’’ উইকেটের সাহায্য না পেলে যে তাঁদের পক্ষে ভাল বোলিং করা সম্ভব নয়, তা এ দিন কার্যত বুঝিয়েই দিলেন প্রজ্ঞান। আগের দিন জোড়া উইকেট নিয়ে আশা জাগালেও এ দিন অশোক দিন্দা উইকেটহীন থাকলেন। বরাবরের মতো সারা ইনিংসে তাঁকেই সবচেয়ে বেশি বোলিং করতে হয় অবশ্য। অপর মিডিয়াম পেসার সায়ন ঘোষ এ দিন দ্বিতীয় উইকেটটি পেলেন। তবে সরফরাজ খানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নেন সায়নশেখর মন্ডল। তাঁর বলে অভিমন্যু ঈশ্বরনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সরফরাজ।
রবিবার ম্যাচের শেষ দিন যথাসম্ভব ব্যাটিং প্র্যাকটিস সেরে নিতে চান বাংলার ব্যাটসম্যানরা। শিবিরে ফোন করে তেমনই জানা গেল। কারণ, এই নির্জীব উইকেটে সরাসরি জেতার চেষ্টা না করাই ভাল বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলা ৪৬৬ ও ৩০-০, উত্তর প্রদেশ ৪১০ (উমঙ্গ ১৩৬, সরফরাজ ৮৫, কুলদীপ ৬৩, গনি ৩-৭২, দিন্দা ২-৯৭, ওঝা ২-১০১, সায়ন ২-১০৫)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy