বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার নয়া প্রধান সাবির হুসেন শেখাদাম খান্ডওয়াওয়ালা ছবি টুইটার
ভারতবর্ষে জুয়া বৈধ হোক তা একেবারেই চান না বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার নয়া প্রধান সাবির হুসেন শেখাদাম খান্ডওয়াওয়ালা। তাঁর মতে জুয়া বৈধ হলে ম্যাচ গড়াপেটাও হতে পারে। খান্ডওয়াওয়ালা বলেন, ‘‘জুয়াকে সরকারের বৈধতা দেওয়া উচিত কিনা তা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, তবে একজন পুলিশ কর্তা হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, জুয়া বৈধ হলে ম্যাচ গড়াপেটা হতেই পারে। সরকার এখনও পর্যন্ত জুয়াকে বৈধতা দেয়নি।’’
প্রাক্তন এই পুলিশ কর্তা আরও বলেন, ‘‘জুয়া ম্যাচ গড়াপেটা প্রচার করে। সুতরাং এই নিয়মের পরিবর্তন হওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, বরং এই নিয়ম আরও কঠোর করা উচিত। আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। সাধারণ ভাবে ক্রিকেটকে দুর্নীতি মুক্ত রাখা গিয়েছে। এর কৃতিত্ব প্রাপ্য বিসিসিআইয়ের।’’
প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর জুয়াকে বৈধ করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে একেবারেই একমত নন খান্ডওয়াওয়ালা। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দেশে জুয়াকে বৈধতা দেওয়া হলেও যাঁরা ম্যাচ দেখতে মাঠে যান বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেন তাঁরা খেলায় বিশ্বাস করেন এবং ম্যাচটি গড়াপেটা হয়ে গিয়েছে ভেবে খেলা দেখতে বসেন না। আমাদের কাজ হবে তাঁদের বিশ্বাস বাঁচানো এবং খেলাকে সব ধরণের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করা।’’
তিনি বলেছেন, “আমাদের দেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের এত ভাল বেতন দেওয়া হয় যে তারা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঝামেলা থেকে কয়েক মাইল দূরে। আমাদের এই নিয়ে গর্ব করা উচিত। সবচেয়ে বড় কাজ হল ছোট প্রতিযোগিতা এবং লিগ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা। সন্দেহজনক কার্যকলাপ চিহ্নিতকরণ ছাড়াও এটি প্রতিরোধ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই খেলার প্রতি তাঁর ভালবাসা তাঁকে নতুন কাজে অনেক সাহায্য করবে। খান্ডওয়াওয়ালা বলেন, “পুলিশ কর্তা থাকাকালীন আমি অনেকগুলি (পুলিশ) টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলাম। আমি ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো পছন্দ করি।” বিসিসিআই-তে যোগদানের পরে খান্ডওয়াওয়ালার আগে প্রথম চ্যালেঞ্জটি হবে আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে। ৯ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy