উচ্ছ্বাস: ম্যাচের পরে ইটালির লোরেনজ়ো এবং জর্জিনহো। গেটি ইমেজেস
দরজায় কড়া নাড়ছে ইউরো কাপ। প্রতিযোগিতা শুরু হতে বাকি রয়েছে পাঁচ দিন। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের আরও তীক্ষ্ণ করে তুলছে অংশগ্রহণকারী দলগুলি।
শুক্রবার রাতে চেক প্রজাতন্ত্রকে ৪-০ বিধ্বস্ত করল ইটালি। রবের্তো মানচিনির প্রশিক্ষণাধীন দলের হয়ে গোল করলেন সিরো ইমমোবিলে, নিকোলো বারেল্লা, লোরেনজ়ো ইনসিনিয়া এবং দোমেনিকো বেরারি।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে বিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলে ইটালি। ২৩ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন লাজ়িয়োর স্ট্রাইকার ইমমোবিলে। চেক প্রজাতন্ত্রের রক্ষণ ভাগ বল বিপন্মুক্ত করতে ভুল করেছিল। সেই বল ধরেই ‘আজ্জুরি’ (নীল জার্সি পরে খেলে বলে ইটালির জাতীয় দলকে আদর করে এই নামে ডাকেন সমর্থকেরা)-দের এগিয়ে দেন তিনি। ৪২ মিনিটে ইন্টার মিলানের মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ২-০ করেন। তৃতীয় গোল আসে ৬৬ মিনিটে ইমমোবিলের পাস থেকে। তাঁর বাড়ানো বল ধরে ডান পায়ের শটে ব্যবধান বাড়ান ইনসিনিয়ে। চতুর্থ গোলটি তিনিই করান দোমেনিকো বেরারিকে দিয়ে। যা হয় তৃতীয় গোলের সাত মিনিট পরেই।
শুক্রবারই ছিল ইনসিনিয়ের ৩০তম জন্মদিন। বিশেষ দিনে এই জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত তিনি। ম্যাচ শেষে মাঠেই তিনি সাংবাদিকদের বলে যান, ‘‘ইউরো কাপে কত দূর পর্যন্ত আমাদের দল যেতে পারবে, তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে নিজেদের দলের শক্তি সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের কোচ দলটাকে দারুণ ভাবে বেঁধেছেন। যার ফলে কখন জ্বলে উঠে নিজেদের সেরা ফুটবল খেলে জয় তুলে আনতে হবে, তা সকলে জানে।’’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছতে পারেনি ইটালি। ফলে এ বারের ইউরো কাপ তাদের কাছে পাঁচ বছর পরে বড় মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করার পরীক্ষা। এর আগে ২০১৬ সালে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তারা। ইউরো কাপে গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে ইটালি। ১১ জুন তাদের প্রথম ম্যাচ তুরস্কের বিরুদ্ধে। এর পরে মানচিনির ছেলেরা খেলবেন সুইৎজ়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের বিরুদ্ধে। পরাজিত চেক প্রজাতন্ত্র প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আরও দু’টি ম্যাচ খেলবে। মঙ্গলবার আলবানিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের প্রস্তুতি ম্যাচ। গ্রুপ ‘ডি’-তে তাদের সঙ্গে রয়েছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও গত বিশ্বকাপের ফাইনালে
খেলা ক্রোয়েশিয়া।
মাদ্রিদে অন্য প্রস্তুতি ম্যাচে শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে স্পেন জিততে পারল না প্রতিবেশী দেশ পর্তুগালের বিরুদ্ধে। ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য অবস্থায়। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও এই ম্যাচের তাৎপর্য ছিল অন্য কারণে। কারণ, এই ম্যাচ থেকেই দুই দেশ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে করতে চায় স্পেন ও পর্তুগাল। পাশাপাশি, দলের নতুন রক্ষণ কতটা পোক্ত হয়েছে, তাও দেখার ছিল স্পেন কোচ লুইস এনরিকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy