দুই রোনাল্ডো। মাঠে ভাগ্নের সঙ্গে। মাঠের বাইরে নতুন বান্ধবীর সঙ্গে দিন কয়েক আগে প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডে। -টুইটার
একদিকে রিয়াল মাদ্রিদের সোনার বিবিসি। যারা প্রতি মরসুমে অন্তত সত্তরটা গোল করে।
আর এক দিকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ইউরোপের হেভিওয়েট ক্লাবদের সৌজন্যে যাদের প্রতি বছরই হারাতে হয় তারকা ফুটবলারদের।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে রিয়ালের সোনার আক্রমণ হা-হুতাশ করল গোলের জন্য। ডর্টমুন্ড সেখানে গোলের মালা পরাল লেগিয়া ওয়ারস-কে।
স্পোর্টিং লিসবন বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ ছিল রোনাল্ডোর ঘরে ফেরা। যে ক্লাবে কোনও এক তরুণ রোনাল্ডোর ফুটবলের হাতেখড়ি হয়েছিল, সেই মাঠেই মঙ্গলবার রাতে প্রত্যাবর্তন হয় সিআর সেভেনের। লড়াইয়ের আগে অবশ্য রোনাল্ডো এক রকম সতর্ক করে দিয়েছিলেন, লিসবনের প্রতি আবেগ পরে। আগে রিয়ালকে জেতানো।
আটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পরে নিজের প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধেও গোল উপহার দেবেন মহাতারকা। অপেক্ষা ছিল। কিন্তু তা হল কোথায়? বরং নিষ্প্রভ রোনাল্ডোর রাতে রিয়ালকে রক্ষা করলেন করিম বেঞ্জিমা। যাঁর গোল ড্রয়ের মুখ থেকে বাঁচাল রিয়ালকে। ২-১ জিতে শেষ ষোলোয় উঠল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা।
নিজভূমিতে ফিরে রোনাল্ডোর স্মরণীয় মুহূর্ত বলতে ম্যাচ শুরুর আগে খুদে ম্যাসকটের সঙ্গে ঠাট্টা। যে ম্যাসকট আবার সম্পর্কে রোনাল্ডোর ভাগ্নে। সিআর সেভেনের বোন কাটিয়া আভেইরোর পুত্র জোসে ডিনিস। কাটিয়া বলছেন, ‘‘এর থেকে স্বপ্নের মুহূর্ত আমার জন্য আর কিছু হতে পারে না। আমার ভাই রোনাল্ডোর সঙ্গে আমার ছেলে। আশা করছি বড় হয়ে আমার ভাইয়ের মতোই ফুটবলার হবে জোসে ডিনিস।’’
রোনাল্ডোর গোল খরার রাতে গ্যারেথ বেলও আবার চোট পেলেন। পা মচকে এল ক্লাসিকোর আগে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন ওয়েলশ উইজার্ড।
ফুটবলার রোনাল্ডো না পারলেও শিরোনাম ছিনিয়ে নিলেন প্রেমিক রোনাল্ডো। পর্তুগালে আসার আগে প্যারিসে নিজের নতুন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের সঙ্গে ডিজনিল্যান্ডে সময় কাটান সিআর সেভেন। এর পরে দু’জনের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
রিয়াল যেখানে মাত্র দু’গোলেই থেমে গেল, ডর্টমুন্ড-লেগিয়া ম্যাচ সাক্ষী থাকল গোল-উৎসবের। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম একটা ম্যাচে বারো গোল হল। এক ডজন গোলের রাতে ৮-৪ জিতল ডর্টমুন্ড। ডর্টমুন্ডের গোল উৎসবে মার্কো রয়েস করলেন হ্যাটট্রিক। পরে অবশ্য উয়েফা রয়েসের তৃতীয় গোলকে লেগিয়ার আত্মঘাতী বলে দেয় সরকারী ভাবে। এ ছাড়াও গোলদাতার তালিকায় ছিলেন শিনজি কাগাওয়া (২), অসমান দেমবেলে, নুরি সাহিন ও পাসলাক।
আট গোলের সৌজন্যে গ্রুপ শীর্ষেই থাকল ডর্টমুন্ড। শেষ গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি রিয়াল ও ডর্টমুন্ড। পরিস্থিতি যা তাতে ড্র করলেও শীর্ষেই শেষ করবে জার্মান ক্লাব। শেষ ষোলোয় হয়তো কোনও সহজ বিপক্ষকে পাবে। আট গোল দিয়ে দলের জয় দেখার পরে অবশ্য সন্তুষ্ট ডর্টমুন্ড কোচ টমাস টুখেল। বলছেন, ‘‘অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ দেখলাম। আমরা জিতলাম ঠিকই। কিন্তু তাতেও রক্ষণ নিয়ে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। সেগুলো শুধরোতে হবে।’’
রিয়াল, ডর্টমুন্ডের সঙ্গে শেষ ষোলোয় উঠল জুভেন্তাসও। সেভিয়ার বিরুদ্ধে ৩-১ জিতল তারা। গোলদাতা ক্লদিও মারচিসিও, লিওনার্দো বোনুচ্চি ও মারিও মান্দজুকিচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy