জাহির খান: ৪ ওভার, ১৭ রান, ২ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ দীর্ঘকায় অস্ট্রেলীয় পেসার নাথন কুল্টার-নাইল (৪-২০) হতেই পারেন। কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের ১১৮-র (তাও আট উইকেট খুইয়ে) টার্গেট দিল্লি ডেয়ারডেভিলস মাত্র একজনকে হারিয়ে তুলে নিয়ে নয় উইকেটের বিরাট জয়ও পেতে পারে। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে উঠে আসতে পারে আইপিএল টেবলের চতুর্থ স্থানে। কিন্তু কোটলার এই ম্যাচের ইউএসপি জাহির খান। এক বছরের চোট সারিয়ে টি-টোয়েন্টি গ্রহে ফিরেই ছত্রিশের পেসার জ্বলে উঠলেন। কাল ইডেনে চুয়াল্লিশের চায়নাম্যান! আজ কোটলায় ছত্রিশের পেসার! তারুণ্যের প্রতীক আইপিএল এ বার প্রবীণদের ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হয়ে উঠল না কি?
এখনও ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখা জাহির এ দিন নতুন বলে শুরু করে নিজের প্রথম দু’ওভারে পঞ্জাবের দুই ওপেনারকেই ডাগআউটে ফেরার রাস্তা দেখিয়ে দেন। যাঁদের একজনের নাম বীরেন্দ্র সহবাগ। বীরুকে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ১ রানে আউট করার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে জাহির ফের ধাক্কা মারেন মনন ভোরাকে (১)। ওই গোড়ার ধাক্কা আর অবশিষ্ট ইনিংসেই সামলাতে পারেনি পঞ্জাব। জাহির ৪ ওভারে ১৩টি ডট-সহ মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এর পরে দিল্লি তাদের দুই তরুণ ওপেনার ময়ঙ্ক অগ্রবাল (৪০ বলে ৫২ নটআউট) আর শ্রেয়স আইয়ারের (৪০ বলে ৫৪) সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের ‘ডেয়ারডেভিল’ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয়। এটাই বুঝিয়ে দিয়ে যে, প্রবীণের মতোই নবীনেরও অবদান থাকল নতুন জার্সিতে খেলা ডিডি-র সহজ জয়ের পিছনে।
আবার রাতের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১৮৭-৫ তুলেও রাজস্থান রয়্যালসকে (১৭৯-৭) মাত্র ৮ রানে হারানোর পিছনে জয়ী দলের কোনও বোলারের অবদানের চেয়ে বেশি কারণ বিজিত দলের সঞ্জু স্যামসনের (৪৬ বলে ৭৬) মোক্ষম সময় আউট হয়ে যাওয়া।
তবে জিতেও মুম্বই পয়েন্ট টেবলে সাতেই থাকল। হেরেও রাজস্থান যেমন থেকে যাচ্ছে দুইয়েই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy