দুই কোচ। এক পরিণতি।
প্রিমিয়ার লিগে অঘটনের রাত। এক দিকে নিজের ‘অপয়া’ মাঠে হারলেন হোসে মোরিনহো। পাশাপাশি আবার একই হাল হল আর এক ‘হেভিওয়েট’ কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারেরও।
দীর্ঘ চোদ্দো ম্যাচ পরে অপরাজিত তকমা মুছে গেল চেলসির গা থেকে। খেলা ছিল স্পোর্টস ডিরেক্ট এরিনায়। যে মাঠে আগেও হারের মুখোমুখি হয়েছেন মোরিনহো। এ দিনও সেখানে শনিবারও সেই ছবি পাল্টাল না। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-২ হারল চেলসি। প্রথমার্ধে বহু সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেননি কোস্তা-ফাব্রেগাসরা। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত পাপিস সিসের জোড়া গোলে ২-০ এগোয় নিউক্যাসল। দ্রোগবার গোলে চেলসি ব্যবধান কমালেও, হারের মুখ থেকে বাঁচতে পারেনি তাঁরা। ম্যাচ শেষে মোরিনহো বলেন, “আমাদের অন্তত ম্যাচটা ড্র করা উচিত ছিল।” হারের অজুহাত হিসাবে বল বয়দেরও টেনে আনলেন চেলসির পর্তুগিজ কোচ। বলেন, “বল যখন মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছিল, ফিরে আসতে অনেক সময় নিচ্ছিল। এ রকম ইচ্ছাকৃত সময় নষ্ট করা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।”
এক দিকে চেলসি যখন হারল, তাঁদের লন্ডনের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও সাক্ষী রেখে গেল খারাপ রক্ষণাত্মক পারফরম্যান্সের। স্টোক সিটির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ০-৩ পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। ম্যাচ শুরুর এক মিনিটের মধ্যে পিটার ক্রাউচের গোলে ১-০ এগোয় স্টোক। ৩৫ মিনিটে বোয়ান ব্যবধান বাড়ান। ওয়াল্টার্সের গোলে ম্যাচ এক তরফা লড়াইয়ে পরিণত হয়। বিরতির পরে যদিও আর্সেনাল আবার ম্যাচের ফেরার চেষ্টায় আক্রমণের ঝড় তোলে। প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে সান্তি কাজোরলা ৩-১ করেন। যার কিছুক্ষণ পরেই অ্যারন র্যামসির গোলে শেষ কয়েক মিনিট জমজমাট করে তোলে আর্সেনাল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেনি ওয়েঙ্গারের দল। ম্যাচ ৩-২ শেষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy