মহনদীর তীরে স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের।
তিন বছর পরে ফের ট্রফিহীন হয়ে মরসুম শেষ করার যন্ত্রণা ফিরল সবুজ-মেরুন শিবিরে।
পরিবর্ত হিসেবে নেমে জোড়া গোল করে সি কে বিনীত বেঙ্গালুরু এফসি-কে শুধু ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়নই করলেন না, এনে দিলেন আগামী মরসুমে এএফসি কাপে খেলার ছাড়পত্রও।
রবিবাসরীয় বরাবাটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই গ্যালারিতে উৎসব শুরু করে দিয়েছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। চার দিন আগেই রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ৩-১ গোলে হারিয়েছিলেন বলবন্ত সিংহ-রা। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের ধারণা ছিল, ফেডারেশন কাপ ফাইনালেও সুনীল ছেত্রী-হীন বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দেবেন সনি নর্দে-রা। কিন্তু ম্যাচটা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটা বদলে যেতে শুরু করল।
এএফসি কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম দলের কাউকেই খেলাননি বেঙ্গালুরু কোচ আলবের্তো রোকা। শুধু তা-ই নয়। ফুটবলাররা যাতে তরতাজা থাকেন, তার জন্য কটকের টিম হোটেলেই ছিলেন হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা, সন্দেশ ঝিঙ্গান-রা। নিঃশব্দে মোহনবাগান বধের প্রস্তুতি সেরেছেন তাঁরা। কীভাবে আটকাতে হবে সনি-কে। কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেললে ছন্দ নষ্ট করে দেওয়া যাবে মোহনবাগান মাঝমাঠকে, গত তিন দিন ধরে তারই মহড়া চলছে বেঙ্গালুরু শিবিরে। সঙ্গে যোগ হয়েছিল আই লিগ হাতছাড়া করা এবং এএফসি কাপে মোহনবাগানের কাছে হারের যন্ত্রণা।
আরও পড়ুন: একটানা ছ’বার লিগ চ্যাম্পিয়ন য়ুভেন্তাস
গত দু’বছর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ডার্বিতে সনি-কে আটকানোর মূল দায়িত্ব থাকত খাবরা-র উপর। ফেডারেশন কাপ ফাইনালেও সবুজ-মেরুনের সেরা অস্ত্রকে রোখার ভার ছিল তাঁর উপর। সনি আটকে যেতেই ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকল মোহনবাগান। মহানদীর তীরে ‘নীল’ ঝড়ে টলমল করতে লাগল নৌকো। ১৯ মিনিটে উদান্ত সিংহ-এর দুর্ধর্ষ সাইটভলি সেমিডংগেল লেন-এর পায়ে লেগে জালে জড়ালেও গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। একই ভাবে ৪৯ মিনিটে খুয়ান আন্তোনিও ফার্নান্দেজের গোলও বাতিল করেন লাইন্সম্যান।
চোটের কারণে ৫৭ মিনিটে উদান্ত সিংহ-কে তুলে বিনীতকে নামান রোকা। শনিবারই জন্মদিন ছিল তাঁর। কিন্তু সতীর্থদের জানিয়েছিলেন, ফাইনালের আগে কোনও উৎসব করবেন না। রবিবার বরাবাটিতে বিনীতই নায়ক বেঙ্গালুরুর রুদ্ধশ্বাস জয়ের।
মোহনবাগান: দেবজিৎ মজুমদার, প্রীতম কোটাল, আনাস এডাথোডিকা, এদুয়ার্দো ফেরিরা (রাজু গায়কোয়াড়), শুভাশিস বসু (প্রবীর দাস), কাতসুমি ইউসা, সৌভিক চক্রবর্তী (জেজে লালপেখলুয়া), শেহনাজ সিংহ, সনি নর্দে, বলবন্ত সিংহ ও ড্যারেল ডাফি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy