মুখ খুললেন বাংলাদেশের জোরে বোলার আল-আমিন হোসেন। —ফাইল চিত্র
পারিবারিক হিংসা মামলায় অবশেষে মুখ খুললেন বাংলাদেশের জোরে বোলার আল-আমিন হোসেন। তাঁর দাবি, স্ত্রীকে আগেই তালাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আল-আমিন। বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার। ১২ অক্টোবর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালতে আল-আমিন জানিয়েছেন, স্ত্রীকে তিনি তালাক দিয়েছেন। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ আল-আমিনের স্ত্রী ইশরাত জাহানের আইনজীবী শামসুজ্জামান। তাঁর দাবি, তালাকের কোনও নোটিস পাননি ইশরাত। এমনকি, তিনি এখনও আল-আমিনের বাড়িতেই থাকেন। তার পরেও তিনি কেন খোরপোশ পাবেন না, প্রশ্ন তুলেছেন শামসুজ্জামান।
২০১২ সালে আল-আমিনের বিয়ে হয় ইশরাতের সঙ্গে। তাঁদের দু’টি সন্তান রয়েছে। গত ১ অগস্ট ইশরাত মীরপুর মডেল থানায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন এবং হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, পণের দাবিতে অত্যাচার চালাচ্ছেন আল-আমিন। গত দু’বছর পরিবারের সঙ্গে থাকেন না আল-আমিন। এমনকি তাঁদের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকাও দেন না।
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর আল-আমিন জানান, তাঁর অন্য একটি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতে চান না। এর পর ইশরাত এই সমস্যার সমাধান, শান্তিতে বসবাসের সুযোগ এবং দুই সন্তানের জন্য খোরপোশের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন। উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর বিশেষ নম্বরে ফোন পেয়ে ইশরাত এবং তাঁর দুই সন্তানকে আল-আমিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে পারিবারিক হিংসার অভিযোগে মামলা করেন ইশরাত। সেই মামলায় হাই কোর্টে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান আল-আমিন। জামিন পাওয়ার তার পরের দিনই সন্তানদের খরচ চেয়ে ইশরাত আরও একটি মামলা করেন বাংলাদেশের জোরে বোলারের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতে আদালত আল-আমিনকে ২৭ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সে দিনই আত্মসমর্পণ করেন আল-আমিন। তাঁকে ব্যক্তিগত ছ’হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy