Advertisement
১২ জুন ২০২৪
Ben Stokes

Ben Stokes: সন্তানদের অন্ধকারে রাখতে চাননি, নাইটক্লাবে মারপিটের ঘটনা জানিয়ে দিয়েছেন ইংরেজ ক্রিকেটার

স্টোকস চেয়েছিলেন, তাঁর সন্তানরা যেন অন্য কারও কাছে নাইটক্লাবের মারপিটের ঘটনা না জানতে পারে। তিনি নিজেই সেই ঘটনা জানিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

ব্রিস্টলের একটি নাইটক্লাব।

ব্রিস্টলের একটি নাইটক্লাব। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২২ ১২:৫৫
Share: Save:

২০১৭ সালে ব্রিস্টলে একটি নাইটক্লাবে মারপিট করেছিলেন বেন স্টোকস। তার জেরে আট ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত জানায়, স্টোকস নির্দোষ। নাইটক্লাবের সেই ঘটনা এখনও জ্বলজ্বল করে স্টোকসের সামনে। সন্তানদের কাছেও সেই ঘটনা লুকোতে চাননি তিনি। এত দিন পরে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক।

স্টোকস জানিয়েছেন, স্ত্রী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সন্তানদের পুরো ঘটনাটা জানাতে। তিনি বলেন, ‘‘ক্লেয়ার বলেছিল, আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও কিন্তু ঘটনাটা এখানেই শেষ হবে না। আমাদের জীবনে, আমাদের সন্তানদের জীবনে এই ঘটনার প্রভাব সারা জীবন থেকে যাবে। অন্য কারও কাছে এই ঘটনা জানার আগে আমরাই ওদের সব জানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। ওদের অন্ধকারে রাখতে চাইনি।’’ পরে ছেলে ও মেয়েকে সে কথা বুঝিয়ে বলেন তাঁরা।

২০১৭ সালে ব্রিস্টলের একটি নাইটক্লাবের বাইরে এক ব্যক্তিকে ঘুসি মেরে অজ্ঞান করে দিয়েছিলেন স্টোকস। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে পারেননি স্টোকস। পরে আদালতে হাজিরা থাকায় ভারতের বিরুদ্ধেও একটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। অবশেষে ব্রিস্টল ক্রাউন আদালত তাঁকে নির্দোষ বলার পরে জাতীয় দলে আবার সুযোগ পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

বাবার মৃত্যুর পরে তাঁর মানসিক অবস্থা নিয়েও মুখ খুলেছেন স্টোকস। জানিয়েছেন, বাবার মৃত্যুর পরে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বাধ্য হয়ে নিয়মিত ওষুধ খেতে হত তাঁকে। ক্রিকেট থেকে কিছু দিন বিরতিও নিয়েছিলেন। সেই ধাক্কা এখনও পুরো সামলে উঠতে পারেননি স্টোকস। নিয়মিত না হলেও এখনও মাঝেমধ্যে ওষুধ খেতে হয় তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE