ধোনির লম্বা চুল পছন্দ করতেন মুশারফ। ফাইল ছবি।
ক্রিকেট ভক্ত ছিলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। ক্রিকেটকে রাজনীতির সঙ্গে মেশাতে পছন্দ করতেন না তিনি। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন ক্ষমতায় থাকার সময়। তাঁকে মুগ্ধ করেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চুলের স্টাইল।
২০০৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের সময় ক্ষমতায় ছিলেন মুশারফ। সে বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন মুশারফ। খেলা শেষ হওয়ার পর পুরস্কার দিতে এসে ধোনির চুলের প্রশংসা করেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট। মুশারফ বলেছিলেন, ‘‘আমি একটা পোস্টার দেখেছি। সেখানে তোমার চুল কাটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যদি আমার পরামর্শ নাও তা হলে বলব, তুমি চুল কাটিয়ে ফেলো না। এই রকম চুলে তোমাকে বেশ ভাল দেখতে লাগে।’’ ধোনির আগ্রাসী ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেছিলেন মুশারফ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির তখন বয়স মাত্র এক। সে সময় ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল ছিল ধোনির। সেই চুলের জন্য বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর চুলের ভক্ত তালিকায় অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ছিলেন মুশারফও। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ককে রাজনীতির জটিলতার বাইরে রাখতে পছন্দ করতেন মুশারফ। দু’দেশের ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে ২০০৫ সালের মার্চ মাসে দিল্লিতেও এসেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কথা শুনে হেসে সৌজন্যের সম্মতি দিয়েছিলেন ধোনিও। সেই ম্যাচে মুশারফের প্রশংসার আগে ধোনির আগ্রাসী মেজাজ দেখেছিল পাকিস্তান। মুশারফের সামনেই পাক বোলারদের বল বার বার মাঠের বাইরে পাঠিয়ে ছিলেন ধোনি। ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৬ বলে করেছিলেন ৭২ রান। লাহোরের ২২ গজে সে দিন ধোনির স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৬.৫২। ভাল খেলেছিলেন যুবরাজ সিংহও। তিনি করেছিলেন ৮৭ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১৪ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানের দেওয়া ২৯০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy