জো রুট। ছবি: পিটিআই।
রাঁচীতে প্রথম ২ ঘণ্টায় ৫ উইকেট হারিয়ে ‘বাজ়বল’ ভুলে গেলেন বেন স্টোকসেরা। ধাক্কা সামলাতে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের দল ফিরল টেস্ট ক্রিকেটের ধ্রুপদী ব্যাটিংয়ে। ইংল্যান্ডকে লাল বলের ক্রিকেটের রুটে (শিকড়) ফেরালেন প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট। বলা ভাল, বাধ্য করলেন বাংলার আকাশ দীপ। তাঁর শতরানের ইনিংসে ভর করে কিছুটা স্বস্তিতে স্টোকসেরা। না হলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহরে আরও বিপদে পড়ত ইংরেজরা। চতুর্থ টেস্টে প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ৭ উইকেটে ৩০২।
টস জিতেও সুবিধা করতে পারলেন না স্টোকসেরা। অভিষেককারী আকাশের দাপটে ৫৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। বাংলার জোরে বোলারের বলে পর পর ফিরে যান বেন ডাকেট (১১), অলি পোপ (শূন্য), জ্যাক ক্রলিরা (৪২)। রাঁচীর ২২ গজে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুললেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। তা-ও মধ্যহ্নভোজের আগেই ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবু কৃতিত্ব দিতে হবে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ককে। আগ্রাসী ক্রিকেট ছেড়ে রুট দলকে ফেরালেন টেস্ট ক্রিকেটের চিরপরিচিত ছন্দে। আগলে রাখলেন উইকেটের এক দিক।
রাজকোটে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সুইপ মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়েছিলেন রুট। শুক্রবার রাঁচীতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ‘বাজ়বল’ ক্রিকেটের যাবতীয় শট সাজঘরে রেখে। ফলও পেলেন হাতেনাতে। ব্যাটিংয়ের গিয়ার বদলে দলের দুর্দশা ঘোচালেন রুট। পেলেন টেস্টে নিজের ৩১তম শতরান। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত ১০৬ রানে।
রুট ২২ গজে সঙ্গে পেলেন ভারত সফরে এসে রান না পাওয়া বেয়ারস্টোকে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার খেললেন ৩৮ রানের ইনিংস। যদিও রান পেলেন না স্টোকস (৩)। রুটকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বেন ফোকস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৭ রানের ইনিংস। ভরসা দিতে পারলেন না টম হার্টলি। দিনের শেষে রুটের সঙ্গে অপরাজিত আছেন অলি রবিনসন (৩১)।
টেস্ট অভিষেকেই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন আকাশ। ভারতীয় শিবিরকে বুঝতে দিলেন না যশপ্রীত বুমরার অভাব। প্রথম দিন ৭০ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। তাঁর পাশে মানানসই ছিলেন ভারতের অন্য বোলারেরাও। তাতে আরও চাপ বৃদ্ধি পায় ইংল্যান্ড শিবিরের উপর। মহম্মদ সিরাজ ৬০ রানে ২ উইকেট নিলেও সকালের দিকে কিছুটা হতাশ করেছেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম দিন উইকেটহীন থাকতে হল কুলদীপ যাদবকে।
রাঁচীর ২২ গজ চিন্তায় রাখতে পারে উভয় শিবিরকেই। পিচ বেশ শুকনো। অসমান বাউন্স রয়েছে। প্রথম দিনেই বল বেশ নিচু হয়েছে। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা বেশ কঠিন হবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। তাই প্রথম ইনিংসে রোহিতদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে জোয়ের দেখানো রুটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy