২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দল। —ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালে প্রথম বার এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালে নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে টাই হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। তাতেও টাই হওয়ায় বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। অইন মর্গ্যানের দলের বিশ্বজয়ের নেপথ্যে ছিল মাঠের দুই আম্পায়ারের একটি ভুল। না হলে ৫০ ওভারেই ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হত নিউ জ়িল্যান্ড।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাইয়ের সেই ফাইনালের প্রায় পাঁচ বছর পর ভুল স্বীকার করলেন ম্যাচের অন্যতম আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস। দক্ষিণ আফ্রিকার ইরাসমাস গত মাসেই অবসর নিয়েছেন। সেই ম্যাচের আর এক আম্পায়ার ছিলেন শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা। প্রথমে ব্যাট করে নিউ জ়িল্যান্ড করেছিল ৮ উইকেটে ২৪১ রান। পরে ব্যাট করা ইংল্যান্ডের যখন জয়ের জন্য ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল, তখন বড় ভুল করে ফেলেন মাঠের দুই আম্পায়ার। ইংল্যান্ডকে ১ রান বেশি দিয়ে ফেলেন। বেন স্টোকস এবং আদিল রশিদ দৌড়ে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় মার্টিন গাপটিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যায়। গাপটিল যখন বল ছোড়েন সেই সময় স্টোকস এবং রশিদ পরস্পরকে অতিক্রম করেননি। তাই প্রান্তও বদল হয়নি দুই ব্যাটারের। নিয়ম অনুযায়ী, বল স্টোকসের ব্যাটে লাগায় ১ রান এবং ৪ রান, অর্থাৎ মোট ৫ রান পাওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার, বল ছোড়ার সময় ব্যাটারদের অবস্থানের কথা বিবেচনা না করে ২ রান এবং ৪ রান, অর্থাৎ মোট ৬ রান দেন ইংল্যান্ডকে। সেই ১ রানই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে।
ভুলের বিষয়টা ইরাসমাসের মাথাতেই ছিল না। পরের দিন প্রাতঃরাশ করতে যাওয়ার সময় ধর্মসেনা ভুলের বিষয়টি বলেছিলেন ইরাসমাসকে। এ নিয়ে সদ্য প্রাক্তন আম্পায়ার বলেছেন, ‘‘মাঠে আমরা শুধু বলেছিলাম ৬ রান। পরস্পরকে বলেছিলাম ৬,৬,৬। ফিল্ডার বল ছোড়ার সময় ব্যাটারদের অবস্থানের কথা আমাদের মাথাতেই ছিল না সে সময়।’’ তিনি আর বলেছেন, ‘‘সে বার পুরো বিশ্বকাপে আমি ওই একটাই ভুল করেছিলাম। কিন্তু ভুলটা হয়েছিল ফাইনালে। ব্যাপারটা ভেবে পরে খুব হতাশ হয়েছিলাম। কারণ ভুলটা ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছিল।’’
ইরাসমাস মেনে নিয়েছেন, ফাইনালের টান টান উত্তেজনার মুহূর্তে তাঁদের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। ক্রিকেটের নিয়মের কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। দরকারে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্যও নেওয়া যেত নিশ্চিত হওয়ার জন্য। অবসর নেওয়ার পরেও ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে করা ভুলে আক্ষেপ যায়নি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy