মহম্মদ শামি। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ ফাইনালের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও আক্ষেপ এখনও যাচ্ছে না মহম্মদ শামির। চোটের কারণে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় খেলতে পারছেন না। কিন্তু শামির মাথায় এখনও ঘুরছে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই হার। ভুলতেই পারছেন না ভারতের পেসার। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে আবার নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে কোথায় যে ভুল হল তা এখনও বুঝতে পারছেন না শামি। বলেছেন, “ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার পর গোটা দেশ হতাশ ছিল। আমরা প্রত্যেকে একশো শতাংশ দিয়েছিলাম যাতে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সেটা হয়নি। সত্যি বলতে, ব্যাখ্যা করার মতো ভাষাও আমার কাছে নেই। কোথায় ভুল হল তা এখনও জানি না।”
এর আগে, বিশ্বকাপ ফাইনালের ২৫ দিন পরে মুখ খুলেছিলেন মহম্মদ শামি। সব কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ ফাইনালের পরের কয়েক ঘণ্টার বিবরণ দিয়েছিলেন শামি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা কী করব বুঝতে পারছিলাম না। অনেকে বলছিল, আমরা ভুল পিচ বেছেছি। অনেকে বলছিল, আরও বেশি রান করতে হত। যার যা মনে হচ্ছিল বলছিল। কিন্তু তারা তো কেউ মাঠে নেমে খেলেনি। আমরা খেলেছি। একটা দল হিসাবে খেলেছি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টায় সব বদলে গিয়েছিল।’’
শামি আরও বলেছিলেন, ‘‘ফাইনালে ওঠার পরে সবাই জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি। কিন্তু জিততে পারিনি। তবে তার জন্য কেউ কারও দিকে আঙুল তোলেনি। কারণ, আমরা জানতাম সবাই চেষ্টা করেছে। আগের ১০টা ম্যাচে দল হিসাবে জিতেছিলাম। ফাইনালে দল হিসাবেই হেরেছি। শুধু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।’’
বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ দিকে আমদাবাদের মাঠে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খেলা শেষে ভারতের সাজঘরে গিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাজঘরে যাওয়ায় তাঁদের খুব সুবিধা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন শামি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের মন ভেঙে গিয়েছিল। চুপ করে সবাই বসেছিলাম। কারও কথা বলতে ইচ্ছা করছিল না। কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী এসে দলের সবাইকে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি আসায় খুব সুবিধা হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy