লোকেশ রাহুল। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে রবিবার ভারতের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। লখনউয়ের ২২ গজে মুখোমুখি হবে দু’দল। এই মাঠ হাতের তালুর মতো চেনেন লোকেশ রাহুল। এক অর্থে বেঙ্গালুরুর রাহুলের ‘ঘরের মাঠ’ লখনউ। রাহুলের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক রাহুলের একানা স্টেডিয়ামে ভাল স্মৃতির পাশাপাশি রয়েছে খারাপ স্মৃতিও। বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে এসে স্মৃতিচারণ করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন রাহুল। কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। গত মাসের এশিয়া কাপেও খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপে অবশ্য চেনা ফর্মে পাওয়া গিয়েছে তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লখনউয়ের মাঠের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘আইপিএলের সময় এটাই আমার ঘরের মাঠ। গত আইপিএলে লখনউয়ের হয়ে খেলেছি এখানে। আমার অন্যতম প্রিয় মাঠ এটা। বহু মানুষ আমাদের সমর্থন জানাতে মাঠে আসতেন। ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি আমরা। এখানে খেলার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। শুধু লখনউয়ের বাসিন্দাদের নয়, গোটা উত্তরপ্রদেশের মানুষের সমর্থন পেয়েছি। অনেক দিন বাদে এই মাঠে এলাম। ঢুকেই একটু দৌড়ে নিয়েছি মাঠে।’’
কথায় কথায় এসেছে চোটের প্রসঙ্গও। রাহুল বলেছেন, ‘‘এখানে শেষ ম্যাচের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। আসার আগে ট্রেনারকে সেটাই বলছিলাম। বলা যেতে পারে আমার ক্রিকেটজীবনের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। চোটটা আমার ক্রিকেটজীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে। অনেক বার চোট পেয়েছি। অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতাগুলো কখনও ভাল হয় না। কোনও খেলোয়াড়ের পক্ষেই ভাল হয় না চোটের অভিজ্ঞতা। তবে আবার এখানে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে।’’
সেই যন্ত্রণা, কঠিন সময়ের কথা ভুলে সামনে তাকাতে চান রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘‘অস্ত্রোপচার বিষয়টা খুব যন্ত্রণাদায়ক। তার পর আগের অবস্থা ফিরে পাওয়াটাও বেশ কঠিন হয়। বেশ লম্বা প্রক্রিয়া। অনেক সময় নিজেকে বোঝানো কঠিন হয়। একই সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়। কখনও নিজের উপর রাগ হয়, কখনও হতাশ লাগে। মাঠের বাইরে থাকার সময় নানা রকম প্রশ্ন শুনতে হয়। তবে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে থাকার সময় মনে হয়েছিল, বিরতিটা দরকার ছিল। কারণ তার আগে মানসিক ভাবে বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাকে। তবে এখানে ফিরে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।’’
লখনউয়ের মাঠ নিয়ে ভাল এবং খারাপ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেও রাহুলের মাথায় এখন শুধুই ইংল্যান্ড। গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরা পর পর চার ম্যাচ হেরে চাপে থাকলেও জস বাটলারদের হালকা ভাবে নিচ্ছেন না রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী দল। এখনও ওরাই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। গুরুত্ব না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। ওরাও কিন্তু জেতার জন্যই মাঠে নামবে।’’
তাঁর আশা, আইপিএলের মতো তিক্ত অভিজ্ঞতা আর হবে না। বিশ্বকাপ ভাল ভাবেই কাটবে এবং তিনি দলের চাহিদা মতো পারফরম্যান্স করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy