আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা। ছবি: এক্স।
মাঠেই ঝগড়া হল আম্পায়ারের সঙ্গে। ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করার চিন্তাভাবনা করেছেন ক্রিকেটারেরা। পুরোটাই হয়েছে একটি আউটের সিদ্ধান্ত ঘিরে। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটার। তৃতীয় আম্পায়ার নট আউট দেন। কিন্তু রিভিউ দেখে স্পষ্ট ছিল যে বল ব্যাটে লেগেছে। তার পরেই ঝামেলা শুরু।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি চলাকালীন। ব্যাট করছিলেন সৌম্য সরকার। শ্রীলঙ্কার পেসার বিনুরা ফের্নান্দোর বল সৌম্যের ব্যাট ঘেঁষে উইকেটরক্ষকের কাছে যায়। ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক। শ্রীলঙ্কা আবেদন করলে মাঠের আম্পায়ার আউট দেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সৌম্য।
রিপ্লে-তে দেখা যায় বল ব্যাট ঘেঁষে গিয়েছে। কিন্তু যে মুহূর্তে স্নিকোমিটারে দাগ (বল ব্যাট বা অন্য কোথায় লাগলে যে শব্দ হয় সেখান থেকে এই দাগ হয়। সেটা দেখেই আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেন) দেখা যায় তখন বল ব্যাট অতিক্রম করেছে। কিন্তু অনেক সময় শব্দ কিছুটা দেরিতে আসে বলে প্রযুক্তিতে সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন, আউটের পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় নট আউট দেওয়া হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের পরেই মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে নিজেদের কথা বলেন তাঁরা। আম্পায়ার তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে রাজি ছিলেন না। বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরাও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকেন।
তখনই দেখা যায় শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাবিদ নওয়াজ এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলছেন। পরে তিনি বলেন, “মাঠের আম্পায়ার আউট দিয়েছিল। তাই তৃতীয় আম্পায়ার যদি উপযুক্ত প্রমাণ না পান তা হলে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই কার্যকর থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল যে বল ব্যাটে লেগেছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ রেফারির কাছে আবেদন করব। দরকার পড়লে আইসিসির কাছে যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy