দ্বিতীয় বার বিজয় হজারে ট্রফি জিতল সৌরাষ্ট্র। ছবি: টুইটার
কোয়ার্টার ফাইনালে সাত ছক্কা, দ্বিশতরান। সেমিফাইনালে শতরান। ফাইনালেও শতরান। বিজয় হজারে ট্রফিতে রুতু-রাজ চলল। কিন্তু জয় এল না। শুক্রবার মহারাষ্ট্রকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল সৌরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বার বিজয় হজারে ট্রফি জিতল তারা। এর আগে ২০০৭-০৮ সালে জিতে ছিল তারা। প্রথমে ব্যাট করে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের শতরানের দাপটে ২৪৮ রান তোলে মহারাষ্ট্র। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২১ বল বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে নেয় সৌরাষ্ট্র। ১৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন শেল্ডন জ্যাকসন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স কিছু দিন আগেই ছেড়ে দিয়েছে জ্যাকসনকে। তিনিই এ দিন শতরান করে সৌরাষ্ট্রকে বিজয় হজারে ট্রফি এনে দিলেন। ছন্দ ফিরে পেয়ে ম্যাচ শেষে বলেন, “দারুণ লাগছে ঠিক সময় ছন্দ ফিরে পেয়ে। সতীর্থদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দলের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ভরসা রাখার জন্য। অভিজ্ঞতার দাম আছে। কিন্তু রান না করতে পারলে, শুধু অভিজ্ঞতার জন্য দলে থাকা যায় না।” জ্যাকসনের ১৩৬ বলে ১৩৩ রানের ইনিংসটি সাজানো পাঁচটি ছক্কা এবং ১২টি চার দিয়ে।
মহারাষ্ট্রের হয়ে রুতুরাজ ফাইনালেও শতরান করেন। কিন্তু তাঁর দলের বাকিরা সে ভাবে রান পাননি। দ্রুত রান তুলতেও পারছিলেন না তাঁরা। মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক ১০৮ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান। কোয়ার্টার ফাইনালে এক ওভারে সাত ছক্কা মারা রুতুরাজ এ দিন সাতটি চার এবং চারটি ছক্কা মারেন। ১৩১ বলে ১০৮ রান করেন তিনি। বাকিদের মধ্যে শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে আজিম কাজি করেন ৩৭ রান এবং নওশাদ শাইখ করেন ৩১ রান। ম্যাচ শেষে রুতুরাজ বলেন, “টস হারাটাই বড় হয়ে গেল। দুই দলের মধ্যে বিরাট ফারাক গড়ে দিল। ওরা অনেকটা সাহায্য পেয়ে গেল টস জিতে। প্রথমে ব্যাট করে এই পিচে ২৫০ রান ভাল বলেই মনে হয়েছিল। দল যে ভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এই প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ইতিবাচক জিনিস নিয়ে ফিরছি। টানা আটটি ম্যাচ জিতেছি আমরা। অনেকেই প্রথম বার ফাইনাল খেলল।” প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন রুতুরাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy