বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারের পর থেকে সমালোচনা হচ্ছে বিরাট কোহলিদের ব্যাটিংয়ের। দ্বিতীয় ইনিংসে যে ভাবে থিতু হয়ে যাওয়ার পরেও কোহলি নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন তা মেনে নিতে পারছেন না সুনীল গাওস্করের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার। এই পরিস্থিতিতে কোনও জবাব না দিয়ে চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরাট!
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিরাট একটি লাইন লিখেছেন যার অর্থ, ‘বোবার কোনও শত্রু নেই।’ বিরাট বোঝাতে চেয়েছেন, ফাইনাল হেরে যাওয়ায় তাঁদের সমালোচনা হবেই। এই পরিস্থিতিতে চুপ থাকাই উচিত। নইলে বিতর্ক আরও বাড়তে পারে। তিনি আর বিতর্ক বাড়াতে চাইছেন না।
বিরাট যতই চুপ থাকুন না কেন সমালোচনা থামছে না। গাওস্কর জানিয়েছেন, কেন এত বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন তার জবাবদিহি করতে হবে কোহলিকে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘‘খুব সাধারণ মানের একটা শট খেলেছে বিরাট। অফস্টাম্পের কত বাইরে বল। তার আগে সব বল ছাড়ছিল। হঠাৎ করে বোধহয় ওর মাথায় এসেছিল যে অর্ধশতরান করতে আর এক রান বাকি। মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে হয়তো এমন হয়। জাডেজার ক্ষেত্রেও হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে থাকার সময় এমন শট খেলেছিল যেটা একদম উচিত হয়নি। অজিঙ্ক রাহানে ৪৬ রানে থাকার সময়েও একই জিনিস দেখলাম। অনেক দিন ওকে ও রকম শট খেলতে দেখিনি। হঠাৎ কেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ? মাইলফলক সামনে রয়েছে বলে?”
বাকি ব্যাটারদের সমালোচনা করে গাওস্কর বলেছেন, “লজ্জাজনক ব্যাটিং। ওদের জন্যে কোনও সমালোচনাই যথেষ্ট নয়। বিশেষত শট নির্বাচন। এত সাধারণ মানের শট খুবই কম দেখেছি। আগের দিন পুজারাকে আউট হতে দেখলাম। ওর মতো একজন ব্যাটারের থেকে এ রকম শট আশা করা যায় না। হয়তো ওর মাথায় স্ট্রাইক রেটের ভূত ঘুরছিল। একটা সেশনও ওরা টিকতে পারল না সকালে? হাতে সাত উইকেট নিয়েও?”
টেস্টের পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নামার আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিরাট লিখেছিলেন, ‘‘যদি আমাদের মনে খুব বেশি চিন্তা, ভয় ও সন্দেহ থাকে তা হলে বাঁচার ও ভালবাসার সুযোগ কম পাওয়া যায়। তার জন্য সব কিছুকে দূরে সরিয়ে রাখার অনুশীলন করতে হয়।’’ তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, চাপ না নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ব্যাট করতে চাইছেন। কিন্তু আদতে সেটা হয়নি। প্রথম সেশনেই অলআউট হয়ে গিয়েছে ভারত। তার পরেই হয়তো চুপ থাকার মন্ত্র নিয়েছেন বিরাট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy