রবিবার ভারতীয় ফুটবলকে নতুন দিগন্ত দেখিয়েছে নর্থ-ইস্টের ক্লাব আইজল এফসি। আই লিগ জিতে জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসে।
আইজলের এই আই লিগ জয় কোনও রূপকথার গল্পের থেকে কম নয়। ২০১৫-১৬ মরসুমে আই লিগে প্রথম খেলার সুযোগ পেয়েই অবনবনের আওতায় পড়ে যায় আইজল। ডেম্পো এবং স্পোটিং ক্লাব দি গোয়া আই লিগের মূল পর্ব থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলে নতুন করে সুযোগ চলে আসে আইজলের সামনে। আর সুযোগ পেয়েই বাজিমাত খালিদ জামিলের টিমের। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-বেঙ্গালুরুর মত দলকে পিছনে ফেলে লিগ খেতাব ঘরে তুলে নিল ভারতের লেস্টার সিটি। আইজলের এই সাফল্যে খুশি কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান।
আরও খবর: রূপকথার উত্থান, শূন্য থেকে শিখরে আইজল
সোমবার ইস্টবেঙ্গলের সহসচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ফুটবল নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর। শারীরিক সক্ষমতা-মানসিকতা-ব্যক্তিগত নৈপূণ্যের উপর। ব্যক্তিগত নৈপূণ্যে পিছিয়ে থাকলেও শারীরিক সক্ষমতা এবং মানসিকতায় আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে আইজল। অন্যান্য রাজ্যের থেকে ফুটবলার না এনে সঠিক পরিচর্চা দিয়ে নিজেদেরই রাজ্যের ছেলেকে খেলাচ্ছে তারা, যা আমাদের শিক্ষনীয়। খেলাকে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে তারা। অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক উন্নতি করবে এই দল।’’
আইজলের এই কৃতিত্বকে প্রশংসা করলেও ধারাবাহিকতার উপর জোড় দিলেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এখনই আইজলকে নিয়ে আলোচনা করার সময় আসেনি। এটা সত্যিই একটা বড় কৃতিত্ব যে আইজল পিছন থেকে উঠে এসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কিন্তু ওদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি জেসিটির উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘‘প্রথম জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের নাম জেসিটি। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় ফুটবল মানচিত্রে তাদের চিহ্ন নেই। অতএব আইজলের মূল্যায়ন করা উচিত হবে আগামী ৫ বছরে তাদের ফলাফলের উপর, তাদের ধারাবাহিকতার উপর। এখনই এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলার সময় আসেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy