বিশ্রামের ডার্বি। বুধবার ইস্টবেঙ্গল।
চমকপ্রদ অবস্থায় দাঁড়িয়ে কলকাতা লিগ খেতাবের মুকুট।
আইএফএ-র লিগ সাব কমিটি যদি ডার্বি না খেলার জন্য মোহনবাগানের অতিরিক্ত দু’পয়েন্ট (ডার্বির তিন পয়েন্ট তো কাটা যাচ্ছেই) কেটে নিলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবেন মেহতাব-ডংরা। এ দিন মহমেডান পয়েন্ট নষ্ট করায় আপাতত খেতাবের অঙ্ক এখানেই দাঁড়িয়ে।
এগিয়ে গিয়েও ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জিতে ফেরা হল না মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। বৃহস্পতিবার মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেরা ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ শেষ করল ২-২।
বারাসতে এ দিন বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। কিন্তু নাটকীয় ভাবে তেষট্টি মিনিটে ডোডোজের গোলে এগিয়ে যায় মহমেডান। সত্তর মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মনবীর। কিন্তু শেষ কুড়ি মিনিটে সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি মৃদুলের দল। ইউনাইটেডের হয়ে প্রথমে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান এরিক ব্রাউন। ম্যাচের শেষ দিকে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান মনোতোষ চাকলাদার।
এ দিন মহমেডানের ড্রয়ের ফলে আট ম্যাচে সাদা-কালো শিবিরের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৭। সেখানে ডার্বি ম্যাচের তিন পয়েন্ট না ধরেই ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ২১। এর সঙ্গে ওয়াকওভার পাওয়া ডার্বির তিন পয়েন্ট ধরলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৪। ফলে ওয়াকওভার পাওয়া ডার্বির তিন পয়েন্ট ধরলে মহমেডানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্টের ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে সাত।
মহমেডানের বাকি রয়েছে দুই প্রধানের বিরুদ্ধে দুটি মিনি ডার্বি। মৃদুলের টিম সেই দুই ডার্বি জিতলেও তখন মহমেডানের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৩। মহমেডান কর্তা ইশতিয়াক আহমেদ এ দিন ম্যাচের পর আক্ষেপ করছিলেন, ‘‘জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হল আমাদের। আজ জিতলে দু’টো বড় ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকত।’’ টিমের সিনিয়র ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসও বলে দিলেন, ‘‘মোহনবাগানের তিন ম্যাচ বাকি রয়েছে। আমরা বাকি দুই ম্যাচ জিততে পারলে হয়তো রানার্স হতে পারি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নশিপের আশা শেষ।’’
লিগে মোহনবাগানের এখনও তিন ম্যাচ বাকি। সাত ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট এখনও পর্যন্ত ১৬। বাগানের বাকি তিন প্রতিপক্ষ হল মহমেডান স্পোর্টিং, আর্মি একাদশ এবং টালিগঞ্জ অগ্রগামী। এই তিন ম্যাচ যদি মোহনবাগান জিতে যায়, তা হলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৫।
ইস্টবেঙ্গল কোচ রিচার্ড ড্রাইডেন যদিও কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমরা সব ম্যাচ জিতে লিগ খেতাব ক্লাবে ঢোকাতে চাই।’’ আর লাল-হলুদের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার অর্ণব মণ্ডলও বলছেন, ‘‘সব ম্যাচ জিততে হবে। কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।’’ লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও বলছেন, ‘‘লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে এখনও কিছুই বলতে পারব না। আগে লিগ শেষের বাঁশি বাজুক। তার পর সেলিব্রেশনের কথা ভাবা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy