ইস্টবেঙ্গল অনুশীলন। -ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল ১ (পেইন)
চার্চিল ২ (উলফ, আনসুমানা)
দীর্ঘদিন এক নম্বরে থাকার পর শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এই মরসুমে আই লিগের সব থেকে বড় দাবিদার ইস্টবেঙ্গলই। তাঁদের অপরাজিত থাকার দৌঁড় থামিয়ে দিয়েছিল আইজল এফসি। লাজংয়ের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরে আবারও হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এ বার ঘরের মাঠে। মঙ্গলবার বারাসত স্টেডিয়ামে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল মর্গ্যানের লাল-হলুদ ব্রিগেড। ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেল দু’নম্বরে। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেল আইজল এফসি। একই দিনে তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দিল শিবাজিয়ান্সকে।
আরও খবর: ম্যাচ জিতে বিতর্ক উসকে দিলেন বিরাট কোহালি
গত সপ্তাহে ঘরের মাঠেই মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়েছিল ডেরেক পেরেরার চার্চিল ব্রাদার্স। এ বার কলকাতায় এসে হারিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলকে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করে আই লিগে গোয়ার একমাত্র প্রতিনিধি। লিগ তালিকার সেরা তিনে থাকা দুই দলকে হারিয়ে এখন আত্মবিশ্বাসী গোয়ার দল। ডেরেক পেরেরার হাতে পরেই ছুটতে শুরু করেছে। যার ফল ম্যাচ শুরুর সাত মিনিটের মধ্যেই অ্যান্থনী উলফের গোলে এগিয়ে যায় চার্চিল। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে আনোয়ার আলি ও গোলকিপার রেহনেশের ভুল বোঝাবুঝিতেই গোল হজম করতে হল দলকে। আনোয়ারের ব্যাকপাস সঠিক সময়ে বেরিয়ে ধরতে পারেননি রেহনেশ। সেই সুযোগই কাজে লাগালেন উলফ। তার আগেও সুযোগ এসে গিয়েছিল চার্চিলের সামনে। ৩৪ মিনিটে আবার গোল। এ বার আনসুমানা ক্রোমা। আবার সেই নড়বড়ে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে গোল করে গেলেন অনসুমানা। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল ২-০ গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যার ফল ৬৭ মিনিটে ক্রিস পেইনের গোলে ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও এক পয়েন্টও নিতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এর পর আবারও সুযোগ চলে এসেছিল চার্চিলের সামনে। কিন্তু রেহনেশের হাতে আটকে যায় সেই প্রচেষ্টা। ৮৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের গোলের প্রচেষ্টা গোল লাইন সেভ না হলে সমতায় ফিরতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তি তেমনটা হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy