কোচ নিয়ে মাসখানেক ধরে চলা ধোঁয়াশা কাটতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলে। সব ঠিকঠাক চললে আসন্ন মরসুমে বিদেশি-স্বদেশি কোচ জুটির কাছে অনুশীলন করতে দেখা যাবে লাল-হলুদ ফুটবলারদের।
শনিবার মধ্য কলকাতার অভিজাত হোটেলে ক্লাবের পাঁচ শীর্ষকর্তা এবং ইউবি প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনার পর এ রকম ফর্মুলাই বার করার চেষ্টা হয়েছে।
কলকাতা লিগের জন্য বঙ্গসন্তান কোচ নেওয়া হবে। আই লিগের আগে দায়িত্ব নেবেন বিদেশি কোচ। এ দিন সভার পর ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত বলে দেন, ‘‘তিন-চার জনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাই মিলে ঠিক করেছি সামনের সপ্তাহেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’
জানা গিয়েছে, কলকাতা লিগের জন্য তিনটি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাল্লা ভারী বিশ্বজিতের দিকেই। আই লিগে সম্ভবত ফিরছেন ট্রেভর মর্গ্যান। যদি শেষ পর্যন্ত এটাই হয়, তা হলে ময়দানে বড় ক্লাবে অভিনব ঘটনা হয়ে থাকবে। এত দিনের চালু প্রথা ছিল, কর্তারা এক কোচকে ছাঁটাই করে আর এক কোচ আনতেন। তবে এ বার আগে থেকেই চিত্রনাট্য তৈরি করে রাখা হতে পারে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য সেটা আড়াল করে রাখতে তৎপর। তাঁরা চান না, কেউ অপমানিত বোধ করুন। কেউ কেউ চাইছেন, বঙ্গসন্তান কোচের সঙ্গেই মর্গ্যানকে জুড়ে দিতে। আবার অন্য একটি অংশের মত, যিনি যখনই আসুন তাঁর সহকারী হিসেবে যেন থাকেন সুজিত চক্রবর্তী।
ব্রিটিশ কোচ মর্গ্যান শুরু থেকেই লাল-হলুদের দায়িত্ব নিলে সবচেয়ে খুশি হতেন কর্তারাই। কিন্তু আইএসএলের ক্লাব কেরল ব্লাস্টার্সের সহকারী কোচ হিসেবে চুক্তি আছে তাঁর। এবং সেটা বিশাল অঙ্কের। সে জন্যই লাল-হলুদ কর্তারা অপেক্ষা করতে চান আইএসএল শেষ হওয়া পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক মাসের চুক্তি হবে। তাই মর্গ্যানকে চার-পাঁচ মাসের টাকা দিলেই চলবে। তাঁকে কোচ করার ব্যাপারে সবচেয়ে আপত্তি এসেছিল সচিব কল্যাণ মজুমদারের তরফে। তিনি চাইছিলেন ভারতীয় কোচ। কিন্তু এ দিন ঘণ্টা দু’য়েকের আলোচনার পর ক্লাবের স্বার্থের কথা ভেবে সচিব নাকি অনেকটাই নরম হয়েছেন। কল্যাণবাবুও চাইছেন, আই লিগ ইস্টবেঙ্গল জিতুক। এ দিন সভার পর অবশ্য তিনি বললেন, ‘‘এটা তো আমাদের গেট-টুগেদার ছিল।’’ কল্যাণবাবুর ইচ্ছে মতোই কলকাতা লিগের দায়িত্ব বঙ্গসন্তান কোচের হাতে দেওয়া হচ্ছে। আবার ক্লাব সূত্রের খবর, মর্গ্যানের সঙ্গেও আই লিগে কোচ হওয়া নিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার মর্গ্যানের সঙ্গে ফের কথা বলা হবে। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ অথবা অলোকের সঙ্গেও কথা বলা হবে। যিনিই কোচ হোন, তাঁর সঙ্গে ছ’মাসের চুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে লাল-হলুদে।
পুলিশের কোচ রঘু: প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব পুলিশ এসি-র কোচ হলেন রঘু নন্দী। প্রথম দিনই তিনি সই করালেন ময়দানের দুই পরিচিত বিদেশি ফুটবলার ড্যানিয়েল বিদেমি এবং কিংস ওয়েকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy