কখনও মেরুদণ্ড সোজা রাখতে বলছেন আইএফএ-কে।
কখনও কোচ সম্পর্কে তাঁর রসিকতা, ‘নৈবেদ্যর মোদক’!
কখনও বা কোচ ছাড়া কলকাতা লিগ ও ডার্বি জিতে গেলে ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান তিনি!
ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার রয়েছেন তাঁর নিজের গণ্ডিতেই। বৃহস্পতিবার জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচের পরেই দেশের ফেরার বিমান ধরবেন লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। তার আগে বুধবার ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল সচিবের। সন্তোষবাবু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সচিবের সঙ্গে আলোচনার পর কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানকে ডার্বি পর্যন্ত থেকে যাওয়ার অনুরোধ করতে পারেন তিনি। কিন্তু সচিব ও ফুটবল সচিবের মধ্যে বুধবারের সেই বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক শেষ পর্যন্ত হল না। সচিব ক্লাবে থাকলেও আসেননি সন্তোষবাবু। ফোনে যোগাযোগ করলে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আর বৈঠক হল না। কোচকে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন থাকতে পারবেন না। তবে সঙ্গে এটাও বলেছেন, জানুয়ারি থেকে আই লিগের জন্য চুক্তি থাকলেও ডিসেম্বরে চলে আসবেন।’’
বুধবার চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার বারাসতে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে রিজার্ভ বেঞ্চেই বসবেন মর্গ্যান। এ দিন টিমের প্র্যাকটিসের পর বলেও যান, ‘‘সব টিমকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আমরা সব ম্যাচ জিতে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আর মোহনবাগানের থেকে আমরা বেশি এগিয়ে নেই। পয়েন্ট নষ্ট করলেই মোহনবাগান ধরে ফেলবে।’’
লাল-হলুদ কোচের কথাতেই স্পষ্ট তিনি থাকুন বা না থাকুন, প্রথম টানা সাত বার রেকর্ড গড়ে কলকাতা লিগ লাল-হলুদ তাঁবুতে আনতে মরিয়া মেহতাব-অর্ণবরা। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিবও ডার্বি জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। কারণ বড় ম্যাচে তাঁর টিমের কাছে দু’টো বড় চ্যালেঞ্জ টপকানোর লড়াই।
কী সেই দুই চ্যালেঞ্জ? সচিবের কথায়, ‘‘জর্জ ম্যাচের পর কোচ ছাড়াই ডার্বি-সহ তিনটে ম্যাচ খেলবে টিম। ছেলেদের প্রথম চ্যালেঞ্জ এই ডামাডোলের মধ্যেও নিজেদের ফোকাস ধরে রাখা। আর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হল ডার্বি ও লিগ জিতে প্রমাণ করা, টিম-ই আসল। কর্তারা সব ফালতু। আর কোচ হলেন ‘নৈবেদ্যর মোদক’।
আর যদি কোচ ছাড়াই ডার্বি ও হেপ্টা লিগ লাল-হলুদ তাঁবুতে ঢুকে পড়ে? সন্দিহান সুরে ইস্টবেঙ্গল সচিবের চটজলদি উত্তর, ‘‘তখন কোচের পায়ের তলার মাটি কতটা শক্ত থাকে সেটাই দেখার।’’
একই সঙ্গে কলকাতা লিগে মোহনবাগান-টালিগঞ্জ ম্যাচ রিপ্লে দেওয়ায় রসিকতার সঙ্গে এ দিন আক্রমণাত্মক মেজাজেও দেখা গিয়েছে কল্যাণবাবুকে। রিপ্লে নিয়ে তাঁর সোজাসাপটা প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের ক্রীড়াসূচি নিয়ে আইএফএ তো কিছু বলেনি। আমরা ১৪ সেপ্টেম্বরেই লিগের শেষ ম্যাচ খেলব।’’ এর পরেই রিপ্লে-র সমালোচনা করে তিনি বলে বসেন, ‘‘আইএফএ মেরুদণ্ড সোজা রাখুক। মোহনবাগান মাঠে অফসাইডে গোল না দেওয়ার জন্য লোক ঢুকে খেলা পণ্ড করল। শাস্তির বদলে সেখানে রিপ্লে হচ্ছে। এই দৃষ্টান্ত সামনে রেখে এর পর কলকাতার কোনও টিম পিছিয়ে গিয়ে বা ড্র ম্যাচে মাঠে লোক ঢুকিয়ে খেলা পণ্ড করে রিপ্লে চায় তখন কিন্তু তা সামলানো মুশকিল হবে আইএফএ-র পক্ষে।’’
বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগ
ইস্টবেঙ্গল-জর্জ টেলিগ্রাফ (বারাসত, ৫-৩০)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy